মানুষের নানারকম শখ জেগে ওঠে। আর তা পূরণ করতেই অভিনব চিন্তাভাবনাও করে থাকেন। এমন একটি ঘটনা ঘটেছে নবাবের জেলায়। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদে। বিছানায় ইঞ্জিন লাগিয়ে তা রাস্তায় চালিয়ে যান নবাব শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদেরই বাসিন্দা। এমন শখ যে কারও হতে পারে সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ‘ভাইরাল’ হতে চেয়েই এমন কাজ করে বসেন নবাব শেখ। পুলিশ সূত্রে খবর, মোটর ভেহিক্যাল আইন অনুযায়ী ওই শখের গাড়ি রাস্তায় চালানো যায় না। আর তাই ‘বিছানা গাড়ি’ বাজেয়াপ্ত করল ডোমকল থানার পুলিশ।
গত ৫ এপ্রিল পুলিশ ওই ‘বিছানা গাড়ি’ বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন ওই ইঞ্জিন লাগানো গাড়ি পড়ে আছে ডোমকল থানা চত্বরে। এই ব্যক্তির নাম নবাব শেখ বলেই এমন নবাবি মেজাজ কিনা পুলিশ বুঝতে পারছে না। এই বিষয়ে ডোমকল মহকুমা পুলিশ অফিসার শুভম বাজাজ বলেন, ‘মোটর ভেহিক্যাল আইন মেনে ওই বিছানা গাড়ি তৈরি হয়নি। তাই বিছানা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, দেড় বছর ধরে পরিশ্রম করে এই বিছানা গাড়ি বানানো হয়েছিল। এমনকী নিজের এই শখ পূরণ করতে ২ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। তবে ‘বিছানা গাড়ি’ গড়ে ওঠে। ডোমকলের ওই যুবক নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করতেই এমন কাজ করেন। এখন তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল আপাতত বন্ধ।
আরও পড়ুন: কলেজের হস্টেলে বিনা অনুমতিতে থাকছেন কারা? শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগপত্র বনমন্ত্রীর
মুর্শিদাবাদ নবাবের জেলা বলেই পরিচিত। কিন্তু এই নবাবের জন্য নয়। এই যুবক নবাব শেখ যা করলেন তাতে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদে। ২০২৩ সালে এমন শখ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে মতলব আঁটেন নবাব শেখ। তার পর নানা চিন্তাভাবনা করে ডিসেম্বর মাস থেকে ওই ‘বিছানা গাড়ি’ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নবাব শেখ ইদের দিন ওই ইঞ্জিন যুক্ত চলন্ত খাট রাস্তায় বের করেন। এক লহমায় তা ‘বাম্পার হিট’ হয়ে যায়। এই বিষয়ে নবাব শেখ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ফেসবুক আপাতত বন্ধ আছে। তার উপর বিছানা গাড়ি নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। আমার এখন আফসোস করা ছাড়া উপায় নেই। জমানো পুঁজি সব শেষ করে ফেলেছি ভাইরাল হওয়ার নেশায় পড়ে।’