
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে মা। সেখান থেকে কোনওভাবেই বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে নিজের নাবালিকা মেয়েকে জোর করে বিয়ে দিলেন মা। তারপরও সম্পর্কে স্বাচ্ছন্দ্য আসছিল না। কতদিন আর এসব সহ্য করা যায়? শেষে স্বামীর ঘর ভেঙে সেই জামাইয়ের সঙ্গেই নতুন সংসার পাতলেন শাশুড়ি। ঘটনাস্থল নন্দীগ্রাম।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম–১ ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুর গ্রামে মেয়েকে ‘সতীন’ হিসাবে মেনে নিয়ে তার মা জামাইয়ের বাড়িতে রয়েছেন। এই ঘটনায় শাশুড়ি–জামাইয়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন শ্বশুরমশাই। আইসি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকার বিয়ের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
বিষয়টি কেমন করে ঘটল? জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই জামাইয়ের বাড়ি ভগবানপুর থানার নারায়ণদাঁড়ি গ্রামে। তাঁর চুলের ব্যবসা। তাই তাঁর নন্দীগ্রামে আসা যাওয়া ছিল। এখানেই শ্রীপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর শুরু প্রেম। আর তা থেকে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠতাও। ওই গৃহবধূর দু’টি মেয়ে এবং এক ছেলে। বড় মেয়ের বয়স ১৫ বছর। এই ব্যবসায়ী যুবকের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে তাঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। গত ৯ জুন নাবালিকা মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেন। গোটা পরিবারকে অন্ধকারে রেখেই তিনি এই কাজ করেন।
তারপর ঠিক কী ঘটল? মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেদার প্রেম চলছিল। গত ১১ নভেম্বর স্বামীর অনুপস্থিতিতে জামাইকে ডেকে পাঠান ওই গৃহবধূ। তারপর দু’জনে মিলে বাড়ি থেকে চাল, সোনার গয়না, লেপ, মশারি নিয়ে পালিয়ে যান। বাড়িতে ফিরে এসে স্বামী বিষয়টি জানতে পারেন। তখনই স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু যোগাযোগ করা যায়নি। তখন তিনি নন্দীগ্রাম থানার দ্বারস্থ হন। এই ঘটনার কথা শুনে শ্রীপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা কনকলতা মিদ্যার স্বামী শুকদেব মিদ্যা বলেন, ‘এই ঘটনা সবধরণের শালীনতা পার করেছে। সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত নিদর্শন। ওই বধূর স্বামী আমাদের কাছে নিজের সমস্যা নিয়ে এসেছিলেন। তাঁকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports