খড়দার যুবতীকে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনার তদন্তে নেমে বিস্ফোরক তথ্য পেল পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আরিয়ান খান নামে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর মা প্রোডাকশন হাউজের আড়ালে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন। সেই কাজ করতে অস্বীকার করায় নির্যাতন চালানো হয়েছে যুবতীর ওপর। ওদিকে যুবতী থানায় যাওয়ার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ও তাঁর মা।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত আরিয়ান খান ও তাঁর মা শ্বেতা খান একটি প্রোডাকশন হাউজ চালান। মিউজিক ভিডিয়ো তৈরি হয় সেখানে। আর তার আড়ালেই চলে পর্নোগ্রাফির কারবার। অভিযোগ, কম বয়সী সুশ্রী তরুণীদের অভিনয়ের টোপ দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসত আরিয়ান। তার পর আরিয়ান ও তাঁর মা মিলে তাদের পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করতে বাধ্য করত। রাজি না হলে চলত মানবেতর নির্যাতন।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তাঁকে অকথ্য নির্যাতন করেছেন আরিয়ান খান ও তাঁর মা শ্বেতা খান। যিনি এলাকায় ফুলটুসি নামে পরিচিত। হাতের কাছে যা থাকত তাই দিয়ে তরুণীকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এমনকী স্তনে পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে সিগারেটের ছ্যাঁকা। আঘাত করা হয়েছে গোপনাঙ্গেও।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফুলটুসি ও তাঁর ছেলে আরিয়ানের বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। চুরি - ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে। যদিও ২ দিন ধরে তাদের বাড়ি তালা বন্ধ। তারা কোথায় গিয়েছেন জানেন না কেউ। মা ও ছেলের খোঁজ শুরু করেছে খড়দা থানার পুলিশ।