বাংলাদেশের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন - আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) যে এপার বাংলাতেও সন্ত্রাসের জাল ক্রমশ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, এবার আদালতে চার্জশিট পেশ করে সেকথা জানাল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা বেঙ্গল এসটিএফ। মুর্শিদাবাদ জেলা জজের এজলাসে এই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।
এই চার্জশিটে এসটিএফ-এর তরফে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র বাংলা নয়, অসমেও জঙ্গি কার্যকলাপ ছড়ানোর ধান্দায় রয়েছে এবিটি। বস্তুত, বাংলার আগেই অসমে নিজেদের শিকড় ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছে এই বাংলাদেশি জঙ্গিরা। তারপরই হাত বাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে।
বেঙ্গল এসটিএফ এই চার্জশিট দিয়েছে মোট আট জঙ্গির বিরুদ্ধে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি নেটওয়ার্ক বিস্তার করতে একসঙ্গে পাঁচ সন্ত্রাসবাদীর উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এই জঙ্গিনেতারা হল - মুস্তাকিম, সাজিবুল, আব্বাস, মিনারুল ও সাদ। এই পাঁচজনের নেতৃত্বেই ক্রমশ ডালপালা মেলার চেষ্টা করছিল সন্ত্রাসবাদ!
এসটিএফ-এর তদন্তে আরও উঠে এসেছে, শেখ হাসিনার আমলে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল পড়শি দেশের অপর জঙ্গি সংগঠন - জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। আর, এই দুর্বল জেএমবি-ই নাকি পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জঙ্গিজাল ছড়াতে সাহায্য করছিল এবিটি-কে।
বেঙ্গল এসটিএফ-এর দাবি, অসম পুলিশের প্রতিনিধিরা রাজ্যে এসে মুর্শিদাবাদ থেকে এবিটি জঙ্গিদের গ্রেফতার করে ঠিকই, কিন্তু বেঙ্গল এসটিএফ আগে থেকেই এই সন্ত্রাসবাদীদের উপর নজর রাখছিল। এপার বাংলায় নাশকতা ছড়ানোর জন্যই এই সংগঠনটি অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছিল।
জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য সাজিবুল ইসলামকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছিল, নতুন বছরের একেবারে শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তিনটি পর্যটনকেন্দ্রে হামলার ছক কষেছিল এবিটি! অসম পুলিশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা জানতে পেরেছিল।