গত শুক্রবার দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এই সভা ঘিরে সেখানে ভিড় করেছিলেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী ও সমর্থক। উদ্দেশ্য একটাই নরেন্দ্র মোদীকে সামনে থেকে দেখা, তাঁর ভাষণ শোনা আর সেই মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করা। কিন্তু সভা শেষে একের পর এক মুখ ভার হয়ে ফিরলেন অনেকেই। কারও চোখে হতাশা, কারও চোখে বিস্ময়। কারণ, সভার ভিড়ের মধ্যেই ভ্যানিশ হয়ে গেল বহু নেতা কর্মীর মোবাইল। গেরুয়া শিবিরের বহু সদস্য যখন ব্যাগ বা পকেট থেকে ফোন বের করে ছবি তুলতে জানা, তখনই টের পান স্মার্টফোন হাওয়া! ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: 'অনুপ্রবেশকারীদের ছাড়ব না', মমতা সরব হতেই BJP-র ‘বাংলা অস্মিতা’-র উদাহরণ মোদীর
জানা যায়, এদিনের সভায় এক-দু’টি নয়, শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গিয়েছে। কেউ ভেবেছেন বাড়িতে ভুল করে রেখে এসেছেন, কেউ বা তন্নতন্ন করে ব্যাগ খুঁজে বুঝেছেন চুরি হয়েছে। স্মার্টফোন তো গেলই, তার সঙ্গে হারিয়ে গেল সমস্ত যোগাযোগ, প্রয়োজনীয় তথ্য, বহুজনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাপ থেকে শুরু করে দলীয় কন্টাক্ট সব।
সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ প্রবীণ নেতা জয়দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি কাঁকসার মলানদিঘি অঞ্চলে পরিচিত নাম। তিনিও বাদ যাননি এই চুরির তালিকা থেকে। মাঠে ঢোকার মুখেই তাঁর ফোনটি গায়েব হয়ে যায়। পরে তিনি বিজন পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বলেন, থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তখন দেখেন আরও অনেকের ফোন চুরি হয়েছে। তাঁর দাবি, সংখ্যাটা নিঃসন্দেহে একশো ছাড়াবে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, ফোন চুরির বিষয়টি অনেকেই দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা নিছক চুরি নয়, এটা সংগঠিত অপারেশন। থানায় দলীয়ভাবে অভিযোগ জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় এমন নিরাপত্তা ভেদ করে এতগুলো মোবাইল কীভাবে চুরি গেল, তা গভীর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। তবে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।