ফের দুষ্কৃতীদের নিশানায় পাথর ব্যবসায়ী।বীরভূমে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালাল দুষ্কৃতী। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে আদিবাসী পাথর ব্যবসায়ীর। এরপর দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীর টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আজ রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রামপুরহাট থানার নিরষা গ্রামে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ? চলল গুলি! রণক্ষেত্র রাজারহাট
জানা গিয়েছে, ওই পাথর ব্যবসায়ীর নাম সুদীপ বাস্কি। তিনি একটি পাথর ক্রাসারের মালিক। আজ বেলা এগারোটা নাগাদ সপ্তাহান্তে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তিনি নিরষা গ্রামের পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। মূলত এলাকার পাথর ব্যবসায়ীরা এখানে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য বসেন। সেই সময় তিনটি মোটর সাইকেলে চেপে ৫-৬ জন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে আসে। তারা সুদীপের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তিনি টাকার না দেওয়ায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুদীপ বাস্কির। এরপর তারা পাথর ব্যবসায়ীর কাছে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রথমে দুষ্কৃতীরা শূন্যে দু তিন রাউন্ড গুলি চালায়। তারপরেই পাথর ব্যবসায়ীকে গুলি করে। এর পাশাপাশি সেখানে থাকা আরও কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামপুরহাট থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুরুতর জখম অবস্থায় সুদীপ বাস্কিকে প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, তদন্তে তাদের অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। যদিও স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ব্যবসায়ীক কারণে খুন করা হতে পারে সুদীপকে। প্রসঙ্গত, বীরভূমে পাথর ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও হামলা হয়েছে পাথর ব্যবসায়ীদের ওপর। এই অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছে।