নতুন করে মাওবাদী সদস্য বাড়ানোর চেষ্টা করছিল মাওবাদী নেতা। মূলত জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মাওবাদী নতুন করে সদস্য নিয়োগের কাজ করছিল। গ্রেফতার হওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল ও কিছু নথি উদ্ধার হয়।
মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী।
মাওবাদীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারবার গ্রেফতার হওয়ার পর মুক্তি পেয়ে আবার মাওবাদী কার্যকলাপেই ফিরে গিয়েছে সে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই রাজ্যে মাওবাদী সংগঠনের বিস্তার করার লক্ষ্যে লোক নিয়োগ করতে এসেছিল। তারপরেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মাওবাদী নেতা আগে ২০০৫, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবার মুক্তি পাওয়ার পরে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল। মুক্তি পেয়ে আবার মাওবাদী দলেই ফিরে যেত। ২০০৩ সালের অক্টোবরে বান্দোয়ানের কাঁটাগোড়া জঙ্গলে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে বান্দোয়ানের তৎকালীন ওসি নীলমাধব দাসের মৃত্যুর হয়েছিল। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলায় মুক্তি পাওয়ার পর সংগঠনে যোগদান করে। ২০১৩ সালে যাদবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পরে জানতে পারে নতুন করে মাওবাদী সদস্য বাড়ানোর চেষ্টা করছিল এই মাও নেতা। মূলত জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই মাওবাদী নতুন করে সদস্য নিয়োগের কাজ করছিল। গ্রেফতার হওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি ৯ এমএম পিস্তল ও কিছু নথি উদ্ধার হয়। এই নথি থেকেই পুলিশ মনে করছে নতুন করে পুরুলিয়া জেলাকে মাও অধ্যুষিত এলাকায় পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ চালাচ্ছিল।