মানুষের থেকে লুঠ হওয়া টাকা কী করে তৃণমূল নেতার ঘর থেকে উদ্ধার হল তার জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। বুধবার হুগলির শ্রীরামপুরে বিজেপির সাংগঠনিক কর্মসূচি শেষে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন, সীমা লঙ্ঘন করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।এদিন স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি মমতা ব্যানার্জি আওয়াজ তুলতেন। যারা দুর্নীতি করছে তাদেরকে জেলে ঢোকানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে বোঝা যেত। মানুষের থেকে লুঠ হওয়া টাকা কী করে তৃণমূল নেতার ঘর থেকে উদ্ধার হল তার জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে’।বাংলায় একশ’ দিনের কাজ বন্ধ নিয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘কেন মমতা মানুষকে কাজ দেননি? কেন কৃষকদের একাউন্ট নম্বর দেননি প্রথমে? কেন আয়ুষ্মান ভারত বাংলায় চালু করতে দেননি? কেন আবাস যোজনার সুবিধা শুধু তৃণমূল নেতারা পাবে? এই প্রকল্প তো গরিব মানুষের জন্য। তৃণমূল নেতাদের জন্য তো নয়। আজকেও বলছি যদি একশ দিনের টাকা দিতে চান গরীব মানুষকে তাহলে কেন তাদের একাউন্ট নম্বর দিচ্ছেন না’?স্মৃতি ইরানির অভিযোগ, ‘নরেন্দ্র মোদির সরকার দিল্লি থেকে যে টাকা পাঠায় তা যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিনা কাটামানি খেয়ে গরিবদের কাছে পৌঁছে দেয় তবে বুঝব। ইউপিএ সরকারের আমলে যে টাকা আসতো তার থেকে বেশি টাকা বাংলায় আসে মোদী সরকারের আমলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই টাকার হিসাব দিন। সেই টাকা তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে’।