এবারের মাধ্যমিকে ৬,৮২,৩২১ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের পড়ুয়া দেবদত্তা মাঝি। তিনি পেয়েছেন ৬৯৭ নম্বর। ৯৯.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। মার্কশিট প্রকাশের পর জানা গিয়েছে, গণিত, ভৌতবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি, ভুগোলে ১০০ করে পেয়েছে। এছাড়া বাংলায় ৯৮ এবং ইতিহাসে সে ৯৯ পেয়েছে। দেবদত্তা নিজের এই সাফল্যের জন্য নিজের শিক্ষক এবং মাকে কৃতিত্ব দিয়েছে। দিনে কতক্ষণ পড়াশোনা করতে? এই প্রশ্নের জবাবে দেবদত্তা জানায়, ১০, ১২ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করত না সে। পাশাপাশি সে এও জানায় যে সব বিষয়ের জন্যই তার গৃহশিক্ষক ছিল। তবে ভৌতবিজ্ঞানের জন্য শিক্ষকের পাশাপাশি মায়ের থেকেও সাহায্য পেত দেবদত্তা।এদিকে দেবদত্তা অকপটে স্বীকার করে নেয় যে ভোরে উঠে পড়াশোনা করতে বসার তার অভ্যাস ছিল না। এমনকী ভোরে সে উঠতেই পারে না। সকাল আটটা নাগাদ দেবদত্তার ঘুম ভাঙত বলে জানায় সে। তবে বেশ রাত পর্যন্ত সে পড়াশোনা করত বলে জানায় দেবদত্তা। এদিকে দেবদত্তা জানায় যে সে মোবাইল থেকে নিজের ফল জানতে পারে আজ। ফল প্রকাশের সময় তাদের বাড়িতে টিভি চলছিল না। এই ফলাফল করায় স্বভাবতই আপ্লুত দেবদত্তা এবং তাঁর মা-বাবা। দেবদত্তা জানায় যে সে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। আইআইটি-তে ভরতি হওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। এর জন্য মাধ্যমিকেরও আগে থেকে প্রস্তুতি চালাচ্ছে সে।উল্লেখ্য, এবছর মাধমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে ১৬ জেলার ১১৮ জন। মালদা থেকে সর্বোচ্চ ২১ জন প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন। এর মধ্যে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ফল বেশ ভালো হয়েছে। প্রথম দশে এই স্কুলের ১৩ পড়ুয়া স্থান করে নিয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছেন একজন। এদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা ৬ জনের মধ্যে ৪ জনই এই স্কুলের। এবারের মাধ্যমিকে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছে পূর্ব বর্ধমান মিউনিসিপাল স্কুলের পড়ুয়া শুভম পাল এবং মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির রিফত হাসান সরকার। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। অপরদিকে তৃতীয় স্থানে ৬ জন আছেন। ৬৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ক মণ্ডল, বেড়াচাপা দেউলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সৌম্যদীপ মল্লিক, মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মহম্মদ সরবর ইমতিয়াজ, মাহির হোসেন, স্বরাজ পাল, অর্ঘদীপ সাহা।