দিনে দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে জনবহুল এলাকায় খুন হলেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে পারমিতা চক্রবর্তী নামে ওই বধূকে গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করেন ওই বাড়িতে পনির পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি। অভিযুক্তকে তাড়া করে ধরেন স্থানীয় যুবকরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মধ্যমগ্রামের কাজি নজরুল ইসলাম সরণি এলাকায়।স্থানীয় এক যুবক জানিয়েছেন, পারমিতাদেবীর বাড়ির সামনেই পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ জানা যায় তাঁকে গলায় ছুরি মেরেছে কেউ বা কারা। ছুটে গিয়ে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। আহত বধূকে উদ্ধার করে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।জানা গিয়েছে, বধূর স্বামী সকালে অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মেয়ে গিয়েছিল কলেজে। নাবালক ছেলের সঙ্গে মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম সরণিতে ছিলেন পারমিতা দেবী। সকাল ১০টা নাগাদ তিনি স্বামীকে ফোন করে জানান, পনিরওয়ালা এসেছে। উনি বলছেন মাথা ঘুরছে। তাই ঘরে বসতে দিয়েছি। ছেলে জল দিয়েছে। এর পরই প্রতিবেশীরা ফোন করে শুভাসিস চক্রবর্তীকে ফোন করে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর জানান।প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অসুস্থতার ভান করে ঘরে ঢুকে পনিরওয়ালা বধূর দেহে থাকা গয়না ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা পেলে সঙ্গে থাকা ছুরি চালিয়ে দেয় সে। এর পর পালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা খবর পেয়ে অভিযুক্তকে তাড়া করে ধরে। এর পর মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে। ধৃতের নাম সনৎ বসু বলে জানা গিয়েছে। ওই বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে পনির দিতেন তিনি।