গবাদি পশুর শরীরে অদ্ভূত রোগ। সাধারণত চামড়ার কিছুটা অংশ ফুলে যায় এই রোগে। সেই সঙ্গে প্রচন্ড জ্বর। দার্জিলিং জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে গবাদি পশুর শরীরে এই রোগ লক্ষণ দেখা দিয়েছে বলে খবর। নেপাল থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবার তার জেরে সতর্ক করল জেলা প্রশাসন ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর। ইন্দো নেপাল সীমান্ত দিয়ে নেপাল থেকে যাতে কোনও গবাদি পশু ভারতে আসতে না পারে সেব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। সশস্ত্র সীমা বলকেও এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
এসএসবিকে লেখা চিঠিতে দার্জিলিংয়ের প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের ডিরেক্টর এ আর রানা জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ে কিছু গবাদি পশুর শরীরে বিক্ষিপ্তভাবে LSD'র লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। ধারাবাহিক নজরদারিতে এটা অনুমান করা হচ্ছে যে নেপাল থেকে যে গবাদি পশু দার্জিলিং জেলায় ঢুকছে তাদের থেকেই মনে হচ্ছে এই ধরণের রোগ ছড়াচ্ছে।
সাধারণত নিথলিং জাতীয় ভাইরাস থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে। প্রথম দিকে এই ভাইরাসের প্রকোপে গবাদি পশুর প্রবল জ্বর হয়। এরপর গ্রন্থিগুলি ফুলতে থাকে। তারপর ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে যায়। চলতি মাসে উত্তরাখণ্ডে এই ধরণের রোগের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। এর জেরে একাধিক গবাদি পশুর মৃত্য়ু হয়েছিল।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই রোগ যাতে না ছড়ায় সেকারণে সীমান্ত পথে গবাদি পশুর আনাগোনা বন্ধ করতেই হবে। সীমান্ত এলাকার ১০-১২টি থানাকেও এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
তবে এখানও এই রোগের বিরাট প্রকোপ দেখা দিয়েছে এমনটা নয়। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ক্ষেত্রে সংক্রামিত হয়েছে। মূলত পাহাড়ের সুখিয়াপোখরি ব্লকে এটা দেখা গিয়েছে। সেকারণেই রঙ্গলিয়ট, মিরিক, মানেভঞ্জন থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।
এক এসএসবি আধিকারিক জানিয়েছেন, মানেভঞ্জন ও পশুপতি এলাকার থানাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে কেবলমাত্র সুখিয়াপোখরি ও বিজনবাড়িতে এই ধরনের সংক্রমণের কথা শোনা গিয়েছে। দুটি জায়গাই ইন্দো নেপাল সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।
দার্জিলিংয়ের জেলা শাসক এস পোন্নামবালাম জানিয়েছেন, গবাদি পশুদের চিকিৎসার জন্য় গ্রামবাসীদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এসএসবিকে সতর্ক থাকার জন্য় বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এটা মঙ্গল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক