রেলের জমিতে গড়ে উঠেছিল শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধীদের একের পর এক পার্টি অফিস। সবমিলিয়ে রেলের সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে ৩০টিরও বেশি পার্টি অফিস তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্ত পার্টি অফিস অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দিল রেল। এই পার্টি অফিসগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস, তেমনি রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের পার্টি অফিস। প্রসঙ্গত, অবৈধ নির্মাণ বা দখলদারি সরাতে নিয়মিত অভিযান চালায় রেল। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে এই পার্টি অফিসগুলিকে অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খড়গপুর শহরে রেলের জমিতে গড়ে ওঠা এই পার্টি অফিসগুলিকে সরাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বসিরহাটের জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার, কার্যালয়ে ঝুলল তালা
শুক্রবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর বিভাগের তরফে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩৬টি পার্টি অফিস রেলের সম্পত্তি দখল করে বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলিকে পার্টি অফিস সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এর জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে রেল। বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত পার্টি অফিস সরিয়ে ফেলতে হবে নাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৩৬টি পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে তার মধ্যে তৃণমূলের ২১টি, বিজেপির ১২টি, কংগ্রেসের ২টি এবং সিপিএমের একটি পার্টি অফিস রয়েছে। এই সমস্ত পার্টি অফিসগুলি রেলের জমি জবরদখল করে রেলওয়ে কলোনি এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল। তাই সেগুলি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, এখনও তাঁরা নোটিশ পাননি। নোটিশ পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জানা যাচ্ছে, ওই এলাকায় রাজনৈতিক দলের বহু পার্টি অফিস রয়েছে। কোনও কোনও পার্টি অফিস আবার অনেক পুরনো। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, রেল নিজেদের সম্পত্তি খালি করছে। এতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বাংলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছে রেল। জানা যায়,প্রাক্তন সাংসদ দীর্ঘদিন ধরে রেলের ওই বাংলোয় রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতেন। তবে তৃণমূলের তরফে তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদনের ভিত্তিতে জানা যায়, দিলীপ ঘোষ অবৈধভাবে বাংলো ব্যবহার করছেন। তবে সেই বাংলো অবশ্য দিলীপবাবুর নামে বরাদ্দ ছিল না। এরপরই সেই বাংলো খালি করার নির্দেশ দেয় রেল। পরে বিজেপির তরফে রেলের জমিতে গড়ে ওঠা তৃণমূলের অফিসগুলি নিয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন জানানো হয়। বিষয়টি রেলের নজরে আসতেই পার্টি অফিসগুলি সরানোর নির্দেশ দেয় রেল।