সম্প্রতি একের পর এক পুরসভায় তৃণমূল চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলেরই একাংশ কাউন্সিলর।জঙ্গিপুর পুরসভাতেও এনিয়ে জট দেখা দিয়েছিল। নেতৃত্ব নিয়ে চলা টানাপোড়েন অবশেষে থামল শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে। মঙ্গলবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির ডাকা বৈঠকের পরই পরিষ্কার হয়ে যায় দলের পূর্ণ আস্থা রয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলামের উপরেই। ফলে, তাঁকে সরিয়ে অনাস্থা আনার পরিকল্পনায় কার্যত ইতি টানলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। (আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?)
আরও পড়ুন: জঙ্গিপুরে তৃণমূল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলে
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক জয়প্রকাশ মজুমদার, রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক তথা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাংসদ খলিলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সন্তোষ চৌধুরী সহ পুরসভার মোট সাত জন কাউন্সিলর। যদিও জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন অসুস্থতার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মফিজুলের বিরুদ্ধে যে অনাস্থার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, তাতে দল একেবারেই সহমত নয়। শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই তাঁকে সরানো যাবে না। বরং যাঁরা এমন অনাস্থা আনার চেষ্টা করছেন, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, পুরসভায় অভ্যন্তরীণ বিরোধ থাকলেও, তা দলীয় গণ্ডির মধ্যেই মিটিয়ে নেওয়া উচিত। এমন অনাস্থার পথে হাঁটলে তা বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার শামিল। তা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বলা TMCP নেতা সৌভিক রায়কে শোকজ দলের
আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ধৃত মনোজিতদের নিয়ে আদালতে কী বলা হল?
উল্লেখ্য, জুনের শেষ দিকে মফিজুল ইসলামের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন দলেরই একাংশ কাউন্সিলর। সেই প্রস্তাবে সমর্থন করেন কংগ্রেস ও বিজেপির একজন করে কাউন্সিলরও। তাঁদের অভিযোগ ছিল, পুরবোর্ড ঠিকমতো কাজ করছে না এবং সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা নেই।এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্যোগ নেয় তৃণমূলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবারের বৈঠকে দল জানিয়ে দেয়, পুরসভায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হলে মফিজুলের নেতৃত্বেই পুর প্রশাসন চলবে। ফলে আপাতত অনাস্থা সরিয়ে রেখে পুরবোর্ডে ঐক্য ফেরাতে জোর দেওয়া হচ্ছে।