সন্দেহের বশে স্ত্রীকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের যুগনিডাঙ্গা এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তি কয়েক মাস থেকে মানসিক সমস্যায় ছিলেন। সেকারণেই অভিযুক্ত এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের যুগনিডাঙ্গার ৫৫ বছরের ডোলো রায় ও ৫২ বছরের কণিকা রায় দুজনেই চা বাগানের শ্রমিক। ওই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে ও মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। মোটামুটি ভাবে চলছিল তাদের সংসার।অভিযুক্ত ডোলো রায়ের ভাই চন্দন বলেন, দাদা মাঝেমধ্যেই কোনো কারণে রেগে যেতেন। বৌদিকেও সন্দেহের চোখে দেখতেন। কয়েক মাস থেকে দাদার মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল। গতকাল বিকেলে দাদা বৌদির মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। সেসময় ওই দুজন ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বৌদিকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজগঞ্জ থানার বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় তারা। রাজগঞ্জ থানার আইসি অনুপম মজুমদার বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজকে ধৃতকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের মানসিক ভারসাম্যহীনতার দাবি কতটা সত্যি তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।