প্রতিশ্রুতি ছিল, মিলবে স্থায়ী চাকরি। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়েছিলেন সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র। কিন্তু এনরোলমেন্ট লেটার হাতে আসার পর মালবাজারে নিহত যুবকের ভাই দেখলেন চাকরিটি অস্থায়ী। এর পর ওই চাকরি করবেন না বলে জানিয়েছেন সুদীপ পোদ্দার নামে ওই যুবক। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে স্থায়ী চাকরির আবেদন জানিয়েছেন তিনি।বিজয়া দশমীতে বিসর্জনে মালবাজারে হড়পা বানে মৃত্যু হয় ৮ জনের। ঘটনার প্রায় ২ সপ্তাহ পর মালবাজারে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সভা থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। সেই তালিকায় নাম ছিল সুস্মিতা পোদ্দার নামে এক তরুণীর। তার ভাই সুদীপ পোদ্দারের হাতেও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন মমতা। সুদীপ জানিয়েছেন, ঘটা করে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নেওয়ার সময় স্থায়ী সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এনরোলমেন্ট লেটার হাতে আসার পর তিনি দেখেন চাকরিটি অস্থায়ী। এর পরই চাকরি প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।সুদীপ জানিয়েছেন, ১৮ অক্টোবর হাতে এনরোলমেন্ট লেটার পাই। প্রথমে চাকরিটি কী তা জানতে এসডিপিওর কাছে গেছিলাম। তিনি স্পষ্ট করতে পারেননি। তার পর পুলিশ সুপারের কাছে যাই। তিনি বলেন, চাকরিটি অস্থায়ী হোমগার্ডের। প্রয়োজন হলে তখনই ডাক পড়বে।মুখ্যমন্ত্রীর বিলি করা নিয়োগপত্রের দায়িত্ব নিতে রাজি নন খোদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অমিত দে। তিনি বলেন, ‘চাকরির ব্যাপারে জানা নেই। গুজরাতে ব্রিজ ভেঙে মৃত্যুতে কজন চাকরি পেয়েছে?’বিজেপির দাবি, প্রকাশ্য মঞ্চে প্রতারণা করতে শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থায়ী চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে অস্থায়ী চাকরি বিলি করছেন তিনি।