BJP inner conflict: প্রধানমন্ত্রীর সভার আগেই হুগলিতে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব, সামাল দিলেন লকেট

বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে আগামীকাল ১২ তারিখ হুগলিতে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে আবারও হুগলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। মূলত ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের নেতাদের একাংশ। এমনকী বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সামনেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তুমুল হট্টগোল বেঁধে যায়। স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি প্রার্থী। এই সুযোগ নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।আরও পড়ুন: ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ মমতার সুর লকেটের মুখে, ‘রাম BJP-র একার নয়’ বললেন রচনাজানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়ায় বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে বিজেপির একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ভোটের জন্য নতুন কমিটি গঠন করা হয়। তবে অনেক বিজেপি নেতাকে সেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কমিটি থেকে বাদ পড়ে যাওয়া নেতারা। পরে শুক্রবার লকেট দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে হট্টগোলের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)।জানা গিয়েছে, লকেটের ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিজেপি কর্মীরা। ভিডিয়োতে দেখা যায়, লকেট কর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, কাউকে সরানো হবে না। ভোটের পর সব ঠিক হয়ে যাবে। এখন মোদীজির জন্য কাজ করতে হবে। প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে। তখন লকেট ভিডিয়ো যাতে বাইরে প্রকাশ না হয় তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তারপরে অবশ্য দেখা যায় যে ভিডিয়ো বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।এনিয়ে বিজেপিকে কতক্ষা করেছে তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, লকেট যে সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন তিনিই আসলে চোর। তার বিরুদ্ধে বিজেপির লোকজন সরব।এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি, আসল ব্যাপারটা কি হয়েছে সেটা তৃণমূল না জেনেই কথা বলছে। ওরা নিজেদের মতো করে সবকিছু বলছে। ওরা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারবে না যে জেলা সভাপতি কারও কাছ থেকে হাত পেতে চাঁদা চেয়েছে। এখানে সকলে নিঃস্বার্থে বিজেপি করে। যদিও সংগঠনের আলোচনার ভিডিয়ো কীভাবে বাইরে বেরোলো তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। হুগলিতে বিজেপির মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই বলেই দাবি নেতৃত্বের।