এবার দুধে ভেজাল মেশানোর অভিযোগে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল হুগলি জেলায়। এই কাজ যে কেউ করতে পারে তা অনেকেরই কল্পনা করতে পারছেন না। কারণ এই দুধ যেমন শিশুদের শরীরে যায় তেমন অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলার শরীরেও যায়। এমনকী মুমুর্ষূ রোগীকেও দুধ দেওয়া হয়। সেই দুধেই কিনা ভেজাল মেশানোর অভিযোগ। তিনজনকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে ভেজাল দুধের ট্যাঙ্কারও। আজ, সোমবার পোলবার হোসনাবাদে এই ঘটনাতেই আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। রবিবার হুগলির পোলবা থানার হোসনাবাদে একটি হোটেলের সামনে দুধের ট্যাঙ্কার থেকে দুধ নামানো হয়। নীল রঙের কনটেনারে ভরা দুধে মেশানো হচ্ছিল জল ও ‘বিষাক্ত’ কেমিক্যাল বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতেই এই কাজ করছিল ধৃত তিনজন ব্যক্তি। বমাল তাঁদের ধরে ফেলেছে পুলিশ। নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কিনা সেটা এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হুগলির পোলবা থানার হোসনাবাদে একটি হোটেলের সামনে দুধের ট্যাঙ্কার থেকে দুধ নামিয়ে কনটেনারে ভরা হচ্ছিল। আর সেখানেই দুধে জল ও কেমিক্যাল মিশিয়ে দুধের পরিমাণ বাড়িয়ে ওই ভেজাল দুধ হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হতো। নীল রঙের প্লাস্টিকের সেই কনটেনারে ভেজাল দুধ ছোট গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার আগেই গ্রেফতার করা হল তিনজনকে।
আরও পড়ুন: মহাসমারোহে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শান্তিনিকেতনে, ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, জানুন সূচি
এদিকে ভেজাল দুধের কনটেনার ছোট গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পায় পুলিশ কর্মীরা। পোলবা থানার পুলিশ তখন সেখানে অভিযান চালায়। সব জারিজুড়ি ধরা পড়ে যায়। আর গ্রেফতার করা হয় তিনজন অভিযুক্তকে। ধৃতদের নাম সৌরভ পাল। বাড়ি নদিয়ার তেহট্টে। ফিরদৌস মল্লিক এবং শুভরাজ মালিক। দু’জনের বাড়ি হুগলির ধনিয়াখালির হারপুরে। আজ অভিযুক্তদের চুঁচুড়া আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে পুলিশ। এই ভেজাল দুধ চক্রে আর কারা জড়িত? জেরায় প্রশ্ন করছে পুলিশ। যদিও হুগলিতে এর আগেও ভেজাল দুধ বিক্রির কারবার প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্যদিকে এই ভেজাল দুধ চক্রে আর কারা জড়িত সেটার খোঁজ চালানো শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। সৌরভ পাল এই চক্রের মাথার সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সৌরভ পালই জোগাড় করে ফিরদৌস মল্লিক এবং শুভরাজ মালিককে। এরা দু’জন দীর্ঘদিনের বন্ধু। কিন্তু এই তিনজনের পিছনে আর যারা আছে তারা কারা? সেটা জানতেই দফায় দফায় জেরা চলছে। এই কেমিক্যাল কে সরবরাহ করে? কোথা থেকে দুধ আসে। নীল কনটেনারগুলি কার? কতদিন ধরে এই কাজ চলছে? সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।