জন্মের সময়ের তাদের মধ্যে ব্যবধান ছিল ২৫ মিনিট। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরে খুব বেশি ব্যবধান ছিল না যমজ ভাইয়ের। ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যে মাধ্যমিকে যৌথ চতুর্থ হয়েছিল নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র অনীশ বারুই। আর তার থেকে ২ নম্বর কম পেয়ে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছিল তার ভাই অনীক বারুই। দু’জনে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। অনীকের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৭। এবার তারা একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। আবার সাফল্য এল। এটা কি কাকতালীয়? প্রশ্ন উঠছে খোদ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনেই।
এদিকে এই দুই যমজ ভাই এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করেছে। দুই ভাইয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৯। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৮ শতাংশ। অঙ্কিত–অনিশের বাড়ি বাঁকুড়ায়। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পর পর সাফল্য আসায় তাদের বাবা–মা, শিক্ষক–শিক্ষিকা সকলেই গর্বিত। দুই ভাই দেখতে হুবহু একই। শুধু তফাতটা হল একজনের থুঁতনিতে তিল রয়েছে। মাধ্যমিকে একজন ভাই অপরজনকে দু’নম্বরে টেক্কা দিয়েছিল। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে কেউ কাউকেই টেক্কা দিতে পারেনি। একই নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্ভাব্য মেধা তালিকায় তারা নবম স্থান অধিকার করেছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ, কারা থাকছে?
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয় থেকে অদ্রিচ গুপ্ত এবং রফিত রানা লস্কর দুজনেই ৪৯০ পেয়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। অদ্রিচ এবং রফিতও নরেন্দ্রপুর থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় ছিল। তাদের পছন্দ অপছন্দও অনেকটা একই। দুজনেই ফুটবল ভালোবাসে। শুধু তাই নয়, দুজনেরই পছন্দ ডিফেন্ডার পজিশনে খেলা। এমনকী ভবিষ্যতে দুজনেই চাই ডাক্তার হতে। বাঁকুড়ার বাসিন্দা হলেও ছোট থেকেই তাদের পড়াশোনা নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে।