উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে আবাসিক স্কুলের ভিতরে। এই ঘটনা ঘটায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল বীরভূমের লাভপুরে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিভাবকরা জোর করে স্কুল চত্বরে ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। তা থেকেই খণ্ডযুদ্ধের সূত্রপাত। স্কুলের ভিতরে উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে লাভপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত পড়ুয়ার নাম রানিজা পারভিন। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী ময়ুরেশ্বরের প্রজা পাড়া এলাকায় বাড়ি তার। পড়াশোনা করত লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করত ছাত্রীটি। আজ, বুধবার তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে লাভপুরের নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে থেকে পড়াশোনা করত রানিজা। স্কুলের ভিতরে রানিজার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ছাত্রীকে।
ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের? ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সকাল ৬টা নাগাদ স্কুল থেকে তাঁদের কাছে টেলিফোন আসে। ফোন করে স্কুল থেকে জানানো হয়, রানিজার শরীর খারাপ হয়েছে। লাভপুর প্রাথমিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে নাবালিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। রানিজার মা তাজমীরা বিবি বলেন,‘সকালে স্কুল থেকে আমাকে ফোন করা হয়। বলা হয়, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পৌঁছে মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। মেয়ের গলায় ক্ষতচিহ্ন ছিল। যা গলায় ফাঁস লাগালে হয়। মেয়ের মৃত্যুর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষই দায়ী।’