নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষী বেষ্টিত হয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছে শ্যামল আদককে। তাই হলদিয়া পুলিশের একটি দল নয়াদিল্লিতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানকার পুলিশের সাহায্য না পাওয়ায় শ্যামল আদককে গ্রেফতার করতে পারেনি। নয়াদিল্লিতে কোনও এক সাংসদদের বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন ্যামল আদক বলে সূত্রের খবর।
Ad
শ্যামল আদকের নামে হুলিয়া জারি করল মহকুমা আদালত।
এবার হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামল আদকের নামে হুলিয়া জারি করল মহকুমা আদালত। তাঁকে ইদানিং তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁকে খুঁজতে পুলিশ নয়াদিল্লি গিয়েছিল। কারণ সেখানে এক সাংসদের বাড়িতে শ্যামল আদক গা–ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। আজ, মঙ্গলবার হুলিয়ার নোটিশ প্রাক্তন পুরপ্রধানের হলদিয়ার আজাদ হিন্দনগর এবং কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হলদিয়া আদালত চত্বর, পুরসভা, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ চত্বর, হলদিয়া–নন্দীগ্রাম ফেরিঘাট, কুকড়াহাটি ফেরিঘাট, হলদিয়ার সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডেও হুলিয়ার নোটিশ সাঁটানো হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? হলদিয়া পুরসভায় চেয়ারম্যান ছিলেন শ্যামল আদক। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হলদিয়ার আজাদ হিন্দনগরের এক নির্মাণ সংস্থার মালিক অরুণাংশু মুখোপাধ্যায় প্রতারণার অভিযোগ তুলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেন। তাঁর সংস্থার সই জাল করে শ্যামল আদক নিজের কোম্পানির নামে ৮৬ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের ক্রেডেনসিয়াল তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে টেন্ডার দুর্নীতির তথ্য উঠে আসে। কয়েক কোটি টাকার অনিয়মের নথি হাতে পায় পুলিশ। হলদিয়া পুরসভার টেন্ডার সংক্রান্ত দেড় হাজার ফাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ২ অক্টোবর হলদিয়া আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তখনই গা–ঢাকা দেন শ্যামল আদক।