মেয়েকে পাত্রস্থ করতে চেয়েছিলেন বাবা মা। এর জন্য তাঁরা পাত্রও ঠিক করে ফেলেছিলেন। কিন্তু, বিয়ের আগেই ঘটল বিপত্তি। বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেলেন তরুণী। তবে তিনি পালিয়ে কোনও আত্মীয়ের বাড়ি বা ভিন রাজ্যে যাননি। আশ্রয় নিয়েছিলেন একেবারে যৌনপল্লীতে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির মালবাজারের। সপ্তাহখানেক পর অবশেষে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বিষয়টি সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। যদিও তরুণীর দাবি, তিনি জানতেন যে সেটি কোনও যৌনপল্লী।
আরও পড়ুন: বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়ের সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে! পুলিশের ভূমিকায় বিতর্ক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘর ছেড়ে এক আলিপুরদুয়ারে এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তরুণী। ইনস্টাগ্রামে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। পরে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। জানা গিয়েছে, তরুণীর ওই বান্ধবীর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের যৌনপল্লীতে। সপ্তাহখানেক ধরে সেখানেই ছিলেন তিনি। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তরুণীর জানতে পেরেই মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ফলে এক্ষেত্রে পাচারের কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রের খবর, মেয়েটি গত বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি পরিবারের ঠিক করে দেওয়া এক যুবকের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়েও হয়েছে। এ মাসেই তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। আলিপুরদুয়ার থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মালবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। তরুণীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।