একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের পাশাপাশি আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে নেমে নীতি–আদর্শ খুইয়েছে। এটা বামপন্থী রাজনীতিকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এমনকী এই জোট নিয়ে আত্মসমালোচনা এবং সংশোধন না করে আবার ভুল পথে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সিপিএমকেই নিশানা করেছে শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক। ছবি সৌজন্য–এএনআই।
প্রকাশ্য সমাবেশের মধ্য দিয়ে বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লকের ১৯তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। তিনদিনের এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে সিপিএমের রাজ্যস্তরের নেতাদেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। কিন্তু দলের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে সেই সিপিএমকেই নিশানা করেছে শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লক। কোনও নির্দিষ্ট দলের নাম না করলেও বামফ্রন্টে নেতৃত্ব–প্রদানকারী দল হিসেবে সিপিএমের ভূমিকা নিয়ে সমস্যা রয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী একুশের নির্বাচনে কংগ্রেস–আইএসএফ –কে সঙ্গে নিয়ে জোট ‘নীতিহীন’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় আসার শর্টকাট রাস্তা ধরতে আগামী দিনে এমন ভুল আরও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএম নেতারা প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে বুধবার বারাসতের রথতলা ময়দানে রাজ্য সম্মেলনের সূচনা হয়। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য উপস্থিত থাকবেন। সূত্রের খবর, বৃহত্তর বাম ঐক্য গঠনে এই নেতৃত্বের ইগোর সমস্যা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সার্বিক ব্যর্থতা নিয়ে সিপিএমকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছে বামফ্রন্টের এই শরিক দল।
আর কী জানা যাচ্ছে? আনিস খান হত্যাকাণ্ডের পর আইএসএফ এবং সিপিএমকে সেভাবে একসঙ্গে আন্দোলনে দেখা যায়নি বলে সমালোচনা করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু ভাঙড়ের ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিপিএম রাস্তায় নেমেছে বলে সমালোচনা করে ফরওয়ার্ড ব্লকের সম্পাদকীয় প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন প্রকাশ্য সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস, রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়–সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।