তিন দিন ধরে আতঙ্ক ছড়ানোর পর অবশেষে বনকর্মীদের ফাঁদে পড়ল আলিপুরদুয়ারের ত্রাস চিতাবাঘ। গতকাল ঘুমপাড়ানি ওষুধের সাহায্যে চিতাবাঘটিকে কাবু করতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। তারা তিনদিন ধরে চিতাবাঘকে ধরার চেষ্টা করছিলেন। খাঁচা পাতা হয়েছিল এলাকায়। খাঁচায় ছাগলের টোপ দিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে চিতাবাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয়রা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জলদাপাড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএফও পারভিন কাসওয়ান জানিয়েছেন।
আলিপুরদুয়ারের পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শীলবাড়িহাট ঘাটপার গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে চিতাবাঘ যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল তাতে ঘুম উড়েছিল এলাকাবাসীদের। মাত্র ২ দিনে চিতাবাঘের হানায় স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ১০ জন কর্মী জখম হয়েছিলেন। তাদের চিকিৎসা চলছে শীলবাড়িহাট এবং আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। চিতাবাঘটি ধরতে না পারার জন্য স্থানীয়রা বনবিভাগের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, চিতাবাঘ ধরা নিয়ে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি বনবিভাগ। প্রথমে তারা এই প্রাণীকে পাগলা কুকুর বলে দাবি করেছিল।
গত রবিবার আবদুস সালাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুকুরপাড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা চিতাবাঘ তার ওপর হামলা চালায়। একইভাবে সেখানে সজনে পাতা আনতে গিয়ে রেজিনা বিবি নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার ওপরও হামলা চালায় চিতা। তিনি পালাতে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে কোমরে চোট পেয়েছিলেন। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবাবরের সদস্যরা। এর পরে এলাকাবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন চিতাবাঘটিকে দ্রুত ধরা না হলে তারা ওই প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন।