আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। বিচার এবং নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। সেই আবহেই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি এবং গুরুতর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশনে জোর করে ধর্ষণ লেখানোর চেষ্টা করল ওই যুবক। আর তা না করায় চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কালনার।
আরও পড়ুন: ‘হাতের লেখা এতই ভালো ছিল যে মজা করতাম, বলতাম যে ডাক্তারদের মতো হচ্ছে না’
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম নারায়ণ দাস। বাবা মাকে মারধরের অভিযোগে ঘটনার দুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর জামিন পেয়ে বাবার বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনার চেষ্টা করে ওই যুবক। সেই উদ্দেশ্যে ওই মহিলা চিকিৎসককে দিয়ে জোর করে মিথ্যা ধর্ষণের রিপোর্ট লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। চিকিৎসক তা না করায় তাঁর শ্লীলতাহানির পাশপাশি হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পূর্বস্থলী থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা চিকিৎসক। তার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ঋষি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক গত শুক্রবার স্ত্রীকে নিয়ে পূর্বস্থলী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগে গিয়েছিল। সেখানে যুবক দাবি করে, তার স্ত্রীকে মারধর করার পাশাপাশি ধর্ষণ করেছে তার বাবা। তখনই প্রেসক্রিপশনে মিথ্যা ধর্ষণের কথা লেখার জন্য যুবক চিকিৎসকের উপর চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু, মনমতো প্রেসক্রিপশন না পাওয়ায় এমন কাণ্ড করে বসে ওই যুবক। তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।।