হস্টেলে মৃত্যু হয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের। মালদার মানিকচকের একটি বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত ওই কিশোর। সেই হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছিল কিশোরের। মৃত ছাত্রের নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। তারপর তার দেহের ময়নাতদন্তও করা হয়। কিন্তু সেই ময়না তদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। তারা চান দ্বিতীয়বার সেই দেহের ময়নাতদন্ত করাতে। সেকারণেই তারা কিশোরের দেহের শেষকৃত্য না করে তা ফ্রিজে ভরে রাখেন। মূলত দেহ সংরক্ষণের জন্য ওই কিশোরের মৃতদেহ ফ্রিজে ভরে রাখা হয়েছে। এবার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের জন্য ছাত্রের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে খবর।
হস্টেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল ওই কিশোর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে হস্টেল কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে চায়নি পরিবার। পরিবারের দাবি, হস্টেলে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তারা। সেকারণেই তারা দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করাতে চান।
শ্রীকান্ত মণ্ডলের বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি ভিনরাজ্যে কাজ করছিলেন। সেই সময় তাঁকে ফোন করে জানানো হয়েছিল হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। এরপরই তিনি ফিরে আসেন ভিনরাজ্য থেকে। দিল্লিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে তিনি বড় ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে ফিরে আসেন মালদায়।
এদিকে গত ৩রা জুলাই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওই কিশোরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। এরপর সেই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই ময়নাতদন্তে সন্তুষ্ট নয় পরিবার। সোমবার তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পান। কিন্তু সেই রিপোর্টে খুশি নয় পরিবার। তার জেরে সেই দেহ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করে তারা।পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যতদিন না দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত না হচ্ছে ততদিন ধরে তারা কিশোরের দেহ সংরক্ষণ করে রেখে দেবেন।