মাঝপথেই বিকল হয়ে গেল ইঞ্জিন। হাওড়া-বর্ধমান কর্ডলাইনের পালসিট আর রসুলপুর স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ল ট্রেন। এক ঘণ্টা, দু ঘণ্টা নয়। একেবারে টানা তিনঘণ্টা ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। হাওড়া থেকে ছেড়ে মালদা যাচ্ছিল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। ১৩০১১ আপ ট্রেনটি যাচ্ছিল মালদার দিকে। আচমকাই বিভ্রাট মাঝপথে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা বেজে ১১ মিনিটে ট্রেনটি থমকে যায়।এরপর শীতের রাত ক্রমশ এগোতে থাকে। কিন্তু ট্রেনের চাকা আর এগোচ্ছে না। যাত্রীদের মধ্য়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত ৮টা বেজে ১৫ মিনিটে নতুন ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয় ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সঙ্গে। এরপর ট্রেনের চাকা গড়াতে থাকে। ট্রেন ফের চলতে থাকে মালদার দিকে। কিন্তু যাত্রীদের একাংশের দাবি একটা ইঞ্জিন বদলাতেই সময় লেগে গেল তিন ঘণ্টা।এদিকে যাত্রীদের একাংশের দাবি, তবে কি ট্রেন চালুর আগে ইঞ্জিনের যথাযথ দেখভাল করা হচ্ছে না? তার জেরেই কি এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে? তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের মধ্য়ে চরম ক্ষোভ ছড়াতে থাকে।কিন্তু কেন ইঞ্জিন বদলাতে কিছুটা দেরি হল?সূত্রের খবর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস বিকল হয়ে যাওয়ার পরেই উপরমহলে খবর দেওয়া হয়। এরপর ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে নতুন ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়। এরপর বিকল হয়ে যাওয়া ইঞ্জিনকে সরানো হয়। তারপর নতুন ইঞ্জিনকে যুক্ত করা হয়। তারপর ফের ট্রেন চলতে থাকে। সম্ভবত এই গোটা প্রক্রিয়াটি সামাল দিতে গিয়েই কিছুটা দেরি হয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার জেরে সামগ্রিকভাবে ট্রেনটি মালদা পৌঁছতেও অনেকটা দেরি হয়ে যাবে মনে করা হচ্ছে।