‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের প্রথমদিনেই ব্যাপক সাড়া পড়ল বাংলাজুড়ে। আর তার জেরে বেশ চাপে পড়ে গেল বিরোধী শিবির। কারণ প্রথমদিনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মানুষ এই শিবিরে এসেছেন। এখন প্রশ্ন, তাহলে মানুষ কার সঙ্গে আছেন? নবম ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের প্রথম দিনেই যদি এই পরিসংখ্যান হয় তাহলে শেষ কোথায় হবে? এটাও একটা বড় প্রশ্ন। ৩৭টি প্রকল্পেই মানুষের ব্যাপক সাড়া দেখল সকলেই। আর নবান্ন সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যজুড়ে ১৩ হাজার ৯২২টি শিবির করা হয়েছিল। এই শুক্রবারই মোট ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৬ জন প্রকল্প পেতে এসেছেন।
এদিকে সব প্রকল্পতেই মানুষ ভাল সাড়া দিয়েছেন। যদিও কোন প্রকল্পে কত মানু্ষ সাড়া দিয়েছেন সেটা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে এবারও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পতে নাম লেখাতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে দেখা গিয়েছে। আবার আধার কার্ড সংক্রান্ত কাজ, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড নিয়েও ভাল সাড়া মিলেছে বলে সূত্রের খবর। আবেদনের নিরিখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সব জেলায় এগিয়ে আছে। বার্ধক্যভাতা ও বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনাতেও ভাল সাড়া পড়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য মোবাইল ক্যাম্পের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে কাঁপছে একদা মাওবাদী এলাকা বেলপাহাড়ি, সতর্কতা জারি বন দফতরের
অন্যদিকে কদিন আগেই সন্দেশখালিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, দ্রুতই গোটা রাজ্যে বসবে দুয়ারে সরকার শিবির। আর তা হবে জানুয়ারি মাসেই। সেই মতো ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। যা চলবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত চলবে। তাহলে সাড়ে পাঁচ লাখ সংখ্যা সেক্ষেত্রে এই কদিনে কোথায় পৌঁছবে তা নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা চলছে। শুরু থেকেই নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রত্যেকটি শিবিরে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। বহু মানুষ তাদের চাহিদা মতো নির্দিষ্ট প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহ করে আবেদন জানিয়েছে। তবে প্রথম দিনেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নজর কেড়েছে।