শীতের মরশুমে অনেক পর্যটকই বরফ দেখার সাধ নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন শৈলশহর দার্জিলিংয়ে। এখন বহু পর্যটকের ফেরার পালা। কিন্তু এবার হলদিবাড়ি–শিয়ালদা ডাউন দার্জিলিং মেলের ইঞ্জিন মাঝপথে খারাপ হয়ে গেল বলে অভিযোগ। আর তার জেরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গেল যাত্রীদের মধ্যে। সকলেই প্রথমেই ভেবে ফেললেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার মতো কিছু ঘটেনি তো! ট্রেনের মধ্যেই নানা গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ইঞ্জিন বিকল হয়ে বিপত্তি ঘটলেও ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনে আগুন লেগেছে। এই শুনে আর আতঙ্ক তৈরি হয় যাত্রীদের মনে। সাধারণতন্ত্র দিবসের রাতে এমন ঘটনা হইচই ফেলে দিয়েছিল।
সাধারণতন্ত্র দিবস এবার রবিবার পড়েছিল। আর ওই রাতে আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশন সংলগ্ন ইসলামপুরের শান্তিনগর কলোনি এলাকায় হঠাৎ থমকে যায় দার্জিলিং মেল। আর তাতেই এমন আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়। রেল সূত্রে খবর, রবিবার সাড়ে ৮টা নাগাদ প্রথমে প্রবল ঝাঁকুনি দেয়। যা স্বাভাবিক লাগেনি যাত্রীদের। সেখান থেকেই গুজব ছড়াতে শুরু করে। আর দার্জিলিং মেল দাঁড়িয়ে যেতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রী–সহ ট্রেনে থাকা রেলকর্মীরাও। পরে রেলের কর্মীরা এসে যাত্রীদের খবর দেন, ভয় পাওয়ার মতো কিছু হয়নি। ইঞ্জিন বিকল হয়েছে। মেরামত করার কথা ভাবা হচ্ছে। এরপর কেটে যায় দেড় ঘণ্টা। তার পরে নতুন একটি ইঞ্জিন লাগিয়ে যাত্রীদের দেড় কিলোমিটার পিছনে আলুয়াবাড়ি রোড স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতা বইমেলা উপলক্ষ্যে স্পেশাল বাস চালাবে পরিবহণ দফতর, বইপ্রেমীরা স্বস্তিতে
এই ঘটনাকেই যাত্রীরা রসিকতা করে বলছেন, ‘ট্রেনের পিছুটান’ হয়েছে। তবে ঘটনার সময় আতঙ্ক এবং উদ্বেগ চোখে–মুখে দেখা যায় যাত্রীদের মধ্যে। ট্রেনের পিছুটানের পর কেটে যায় আরও বেশ কিছু সময়। কারণ তখন দার্জিলিং মেলের ইঞ্জিনে মেরামত করার কাজ চলছিল। সেটা ঠিক হয় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ। তারপর শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা দেয় দার্জিলিং মেল। এই বিস্তর হ্যাঁপা সামলে যাত্রীরা আতঙ্কের রাত কাটিয়ে ফিরে আসে শিয়ালদায়। দার্জিলিং মেল শান্তিনগর রেল গেট পার করার আগে বিকল হয়ে পড়ে।