তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যাওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গেল সিবিআইয়ের তিন সদস্যের একটি দল। বালির ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নিয়েছিল সিবিআই। গত ২৭ অগস্ট সিবিআই অফিসাররা প্রথম নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার ফের এলেন। সেখানে অনেকক্ষণ ছিলেন তাঁরা।
ঠিক কী ঘটেছিল নেতার? ২০১১ সালের ৬ মে বালি থানা থেকে বাড়ি ফেরার সময় রেল ক্রসিংয়ের সামনে দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তপন দত্ত। বালি থানার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হয়। নিহত নেতার পরিবারের অভিযোগ, ওই হত্য়াকাণ্ডে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়–সহ ১২ জন জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের প্রথম চার্জশিটে পাঁচজনের নাম থাকলেও অন্যান্যদের নাম ছিল না। পরে ২০১১ সালে একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। তাতে আরও দু’জনের নাম যুক্ত করা হয়েছিল।
কেন সিবিআই তদন্ত করছে? এই মামলা সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হলেও বিষয়টি নিয়ে তপন দত্তের স্ত্রী সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। ২০২২ সালের জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তপন দত্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেন। তারপর অগস্ট মাসে তদন্তে আসেন সিবিআই অফিসাররা। তখন একঘণ্টা নিহত নেতার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
কী করলেন সিবিআই অফিসাররা? সূত্রের খবর, তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্তের কাছে ওই ঘটনা–সহ নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সিবিআই অফিসাররা তাঁকে জানান, তাঁরা এফআইআর করেছেন। বুধবার দুপুরে তাঁরা আসেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে নিহত নেতার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। খুনের পর এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনায় অভিযুক্তরা এখনও শাস্তি পায়নি। সুবিচার পাননি নিহত তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। তবে দ্বিতীয় দফায় কী কথা হয়েছে,সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু খুনের ১২ বছর পরও কেন কিনারা হল না হত্যাকাণ্ডের? উঠছে প্রশ্ন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup