বাংলায় ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দিয়েছেন, এবারও সিপিএম ছয়ে শূন্য পাবে। এমনকী কোনও কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় অথবা চতুর্থ হবে। সুতরাং দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি থাকবে। সেটা অবশ্য উল্লেখ করেননি কুণাল। কিন্তু সত্যিই বিজেপি কতগুলি আসন পাবে? এটাই এখন রাজ্য–রাজনীতিতে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা দুটি আসন পেলেই খুশি হবেন বলে জানা যাচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার আবহে গেরুয়া শিবিরের নেতারা ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তাতে ভাল ফল হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একমত নন।
বিজেপি সূত্রে খবর, এখনও বাংলায় সংগঠনের যা হাল তাতে দুটি আসন পেলেই যথেষ্ট বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা এমনটাই মনে করছেন। কারণ তাঁদের কাছে এখানকার স্পষ্ট ছবি ও তথ্য রয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাঁরা এমনটা মনে করছেন। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সেটা কার্যত বুঝিয়েও দিয়েছেন তাঁরা। সুতরাং আষাঢ়ে গল্প শুনিয়ে লাভ নেই সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা হাজির না থাকলেও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘আমি আপনাদের মতোই একজন কর্মী, নেতা নই’, একতার বার্তা দিয়ে অনুব্রতর লড়াইয়ের আহ্বান
আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ২৩ নভেম্বর ভোটগণনা। নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালডাংরা, সিতাই এবং মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। সেখানে তিনটি কেন্দ্র জেতার জন্য ঝাঁপাবে বিজেপি। সেই তিনটি হল—মেদিনীপুর, সিতাই এবং মাদারিহাট। বাকিগুলি যে তাঁরা পারবেন না সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে উপনির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসেন বঙ্গ–বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে এবং অমিত মালব্য। সেখানেই এমন তথ্য উঠে আসে বলে সূত্রের খবর।