গভীর রাতে একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। একেটি বাড়িতে পর পর বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। তার ফলে ভয়ঙ্কর আগুনের গ্রাসে চলে আসে বাড়িটি। ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন ওই বাড়ির মালিক নিতাই মহান্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। যদিও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপদে আছেন বলেই জানা যাচ্ছে। গভীর রাতে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: স্কুলে বিস্ফোরণ, সিলিন্ডার ফেটে ২ শিক্ষিকার গায়ে ধরে গেল আগুন, ভয়ঙ্কর দৃশ্য!
জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৯ ওয়ার্ডে শেঠকলোনি এলাকায় নিতাই মহান্তের বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ও আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টি গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধ গ্যাসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নিতাই। তাঁর বাড়িতে প্রচুর রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল। সেই গ্যাস সিলিন্ডারেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। বাড়িতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেও বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে।
ঘটনায় আতঙ্কে আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। এদিকে, খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশের পাশাপাশি সেখানে পৌঁছয় দমকল। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সবমিলিয়ে আশেপাশের তিনটি ফায়ার স্টেশন থেকে সেখানে দমকলের ইঞ্জিন আসে। দমকলের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে ওই বাড়ি থেকে নিতাই মহান্তকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন কর্মীরা। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে। পরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় নিতাইকে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে, আগুনের ঘটনায় বড়সড় বিপদ এড়াতে বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এলাকায়। দমকলকর্মীদের চেষ্টায় গভীর রাতে ওই আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে।
প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, ১০ সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে ওই বাড়িতে অবৈধভাবে আরও একাধিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পুরপ্রধান। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাসের করবার না করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। পুর প্রধান জানান, এদিনের ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।