বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। তবে রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংগ্রহে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় নেতারা। বাংলায় নেতারা সদস্য সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে। এই আবহে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যপূরণ করতে মোদী জ্যাকেটে এবং নগদ টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। এনিয়ে বিধায়ককে দলের তরফে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে দুই বিজেপি বিধায়ককে, তৎপর হয়ে উঠল সিআইডি
সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা নিজের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পুরস্কার ও নগদ দেওয়ার টোপ দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার যে সমস্ত বুথ ও মণ্ডল সভাপতিরা ১৫০ জন সদস্য করতে পারবেন তাঁদের মোদী জ্যাকেট দেওয়া হবে। আর ৭৫ জনকে সদস্য করতে পারলে নগদ ১০০ টাকা দেওয়া হবে। এ বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। সরাসরি কর্মীদের নগদ টাকার প্রস্তাব দেওয়ায় বিতর্কে জড়ান বিধায়ক। যদিও বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য টাকা দেওয়ার প্রস্তাব স্বীকার করে নিয়েছেন নীলাদ্রি শেখর। তবে এই প্রস্তাবে তিনি কোনও ভুল দেখছেন না। এটাকে প্রলোভন বলে মানতে নারাজ বিধায়ক। তাঁর মতে, তিনি কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্যই এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তাতে অন্যায় কিছু নেই।
কিন্তু, এভাবে নগদ টাকার প্রলোভন দেওয়ায় দলের রোষের মুখে পড়েছেন নীলাদ্রি শেখর। এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেছেন, যারা কর্মীদের উৎসাহিত করার জন্য ভালো কাজ করছেন তাদের সম্বর্ধিত করা যেতে পারে। তবে এভাবে কর্মীদের উৎসাহ করার জন্য কোনওভাবেই নগদ টাকার পুরস্কার দেওয়াকে দল সমর্থন করে না। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যও বিধায়কের এমন কাজের নিন্দা করেছেন। তিনি এটাকে ‘বিচ্যুতি’ বলে নিন্দা করেছেন। দল এই কাজকে সমর্থন করে না বলে তিনি জানান। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এনিয়ে দলের তরফে বিধায়ককে সতর্ক করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এর জন্য বিধায়ককে শোকজ করা হতে পারে বলেও জন যাচ্ছে।
তৃণমূল অবশ্য এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, দলের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সদস্য করতে গিয়ে টাকার প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ–সফরে এসে টার্গেট বেঁধে দিয়ে গিয়ে ছিলেন ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর শেষ সময়। তারপর নানা চেষ্টা করেও দেখা যাচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক সংখ্যায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।