পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এই ইস্যুতে তারা আজ, সোমবার বাংলা বন্ধ ডেকেছে। সকাল থেকে অন্য কোথাও তেমন খাপ খুলতে না পারলেও নিজের লোকসভা কেন্দ্র বালুরঘাটে মেজাজ দেখালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন বালুরঘাটের সাংসদ।ঠিক কী ঘটেছে বালুরঘাটে? এদিন সকাল থেকে বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। বনধ সফল করতে প্রথম রঘুনাথপুরে পথ অবরোধ করা হয়। আর সেটাকে ঘিরে তুঙ্গে ওঠে অশান্তি। কারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে যায়। তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আঙুল উঁচিয়ে পুলিশকে তেড়ে যান। তখন তাঁর এবং বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তাঁদের আগে মারধর করা হয়েছে। এই নিয়ে অশান্তি চরমে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এদিন দেখা গেল কলকাতা ও অন্যান্য জায়গায় জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলার মানুষ এই বন্ধে তেমন সাড়া দেয়নি। দু’একটা জায়গায় রাস্তা অবরোধ, রেল অবরোধ হলেও তা ব্যাপক সাড়া ফেলতে পারেনি। ব্যান্ডেল লোকাল হুগলি স্টেশনে ঢুকলে বিজেপির কর্মী–সমর্থকরা তা আটকে দেয়। রেলপুলিশ এসে তা তুলে দেয়। তবে হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে হাওড়া স্টেশন চত্বর স্বাভাবিক রয়েছে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের নিমতৌড়ি–হলদিয়া–মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তমলুক থানার আইসি’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের পিকেটিং চলে। আটকানো হচ্ছে সরকারি বাস। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় বালুরঘাট সরকারি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। তখন বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।