উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে রাজ্য়ের দ্বিতীয় এইমস খোলার দাবিতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে তাঁকে চিঠি পাঠালেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ কার্তিকচন্দ্র পাল।
এই চিঠির যে ছবি ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আজ - অর্থাৎ - ৩ জানুয়ারি (২০২৪) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন কার্তিক।
চিঠির শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানিয়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ। রায়গঞ্জে এইমসের আরও একটি শাখা খোলার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সরাসরি সহযোগিতা চেয়েছেন কার্তিক।

তাঁর বক্তব্য, রায়গঞ্জে এইমস স্থাপিত হলে শুধুমাত্র এই এলাকা বা উত্তরবঙ্গের মানুষই নন, সেইসঙ্গে পড়শি বিভিন্ন রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রাও উপকৃত হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, এই এলাকার উন্নয়ন সাধন মুখ্যমন্ত্রীর সামগ্রিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের অন্যতম অংশ।
আর সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই সাংসদ বলেন, যদি এখানে রাজ্যের দ্বিতীয় এইমস তৈরি করা যায়, তাহলে তা এই অঞ্চলের উন্নয়নকে এক নয়া মাত্রা দেবে।
সবশেষে কার্তিক লিখেছেন, তিনি এই বিষয়ে অত্যন্ত আশাবাদী যে মুখ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তাঁর সহযোগিতা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মধ্য়ে রায়গঞ্জেই প্রথম এইমস নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যার নেপথ্য কারিগর ছিলেন এলাকার প্রয়াত প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। পরবর্তীতে, তাঁর স্ত্রী দীপা দাশমুন্সিও সেই চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু, দীর্ঘ টালবাহানার পর রাজ্যে যখন এইমসের শাখা খোলা হল, তা নির্মাণ করা হল দক্ষিণবঙ্গের কল্যাণী শহরে। অনেকেই এই ঘটনাকে উত্তরবঙ্গের প্রতি কেন্দ্র ও রাজ্যের বঞ্চনা বলে অভিযোগ করেন। কারণ, এইমস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত হলেও এই হাসপাতাল তৈরির জমি রাজ্যকেই দিতে হবে। তাই, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দুই সরকারকেই দায়ী করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের দাবি, রাজ্যের তরফে নাকি দ্বিতীয় এইমস তৈরির কোনও আবেদন কেন্দ্রকে পাঠানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই লোকসভায় সরব হয়েছেন কার্তিক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ চেয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন তিনি। আর এবার সেই একই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে সরাসরি তাঁকেই চিঠি পাঠালেন তিনি। এখন দেখার রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধান বিরোধী দলের সাংসদের আহ্বানে সাড়া দেন কিনা।