হরিয়ানায় পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন উত্তর দিনাজপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু আঘাত পাওয়া শরীর নিয়েও মিলল না চিকিৎসা। বিহারের কিষেনগঞ্জের এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় ওই যুবককে। এই ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক পারদ চড়েছে রাজ্যে।
আরও পড়ুন: ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় দিন’, উদ্যোক্তাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ব্লকের সোলপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ জুনেইদ হরিয়ানার পানিপথে একটি কার্পেট কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় আট বছর ধরে সেখানে কাজ করতেন তিনি। গত ২৪ জুলাই রাতের নাইট শিফটে কাজ চলাকালীন হঠাৎ পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায় বাংলাদেশি সন্দেহে। অভিযোগ, থানায় তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। পরিণতিতে পায়ের হাড় ভাঙে, নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। জুনেইদকে পরে হরিয়ানার পুলিশ মুক্তি দিলে পরিবারের উদ্যোগে তাঁকে উত্তরবঙ্গে ফিরিয়ে আনা হয়। তাঁর অবস্থা দেখে বুধবার বাড়িতে যান গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। পরদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কাছের বিহার রাজ্যের কিষেনগঞ্জে। সেটি গোয়ালপোখরের সীমান্ত ঘেঁষা শহর। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিতর্কিত ঘটনা। জুনেইদের বাবা শেখ জামালুদ্দিন জানান, তাঁকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। তাদের বক্তব্য, হরিয়ানার পুলিশ যেহেতু তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে ধরেছিল, তাই তাঁর চিকিৎসা করলে আইনগত ঝামেলা হতে পারে। ফলে, জুনেইদকে চিকিৎসা না করেই বাড়ি ফিরতে হয়।