বিহারের কলেজে বাংলার এক তরুণের মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। তবে সেই দাবি মানতে নারাজ ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, এই মৃত্যুর ঘটনায রহস্য রয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। মৃত ছাত্রের নাম সুরম্য সাঁতরা (২১)। ওই ছাত্র হুগলির শেওড়াফুলির জগবন্ধু মুখার্জি লেনের বাসিন্দা। শুক্রবার ভোরে সুরম্যের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। আরও অভিযোগ, হাসপাতালে সুরম্যের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনায় রহস্য রয়েছে বলেই মনে করছেন ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: পুরনো পাম্প হাউস ভেঙে মৃত্যু ব্যক্তির, পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া নির্দেশ মেয়রের
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন সুরম্য। পরে গত বছর তিনি বিহারের মুজফ্ফরপুর রাজেন্দ্র প্রসাদ এগ্রিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে কলেজের হস্টেলে তিনি থাকতেন। শুক্রবার ভোরে হস্টেল থেকে সুরম্যের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ফোনে সুরম্যের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় রাত তিনটে নাগাদ কলেজ হস্টেলের তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুরম্যের। কলেজের তরফে আরও জানানো হয়, ঘটনার পরে তাঁকে প্রশান্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে সুরম্যের। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে সেখানে পৌঁছান বাবা এবং তাঁর ভাই। তবে হাসপাতালে দেহ হস্তান্তর করা হয়নি। পাটনা-কলকাতা রাজ্য সড়কে বখতিয়ারপুর এলাকায় রাস্তার উপরেই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে সুরম্যের দেহ হস্তান্তর করা হয় বলে অভিযোগ।