আগামীকাল সোমবার বাংলা বনধের ডাক দিল আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান সংগঠন। একুশ বছর ধরে সামাজিকভাবে বহিষ্কৃত ঝাড়খণ্ডের গুরুচরণ হেমব্রম ও সামাজিক বহিষ্কৃত পুরুলিয়ার একশো পরিবারকে সাংবিধানিক ন্যায়বিচার দিতে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা কুড়মি মাহাতোদের তফসিলি উপজাতি শ্রেণিতে সামিলের সমর্থন–সহ নানা দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকা হয়েছে। আর আজ, রবিবার বনধের সমর্থনে জেলার খাতড়া ও পাঁচমুড়া এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পোষ্টারিং–মাইকিং করে সাধারণ মানুষদের জানালেন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা।
ঠিক কী দাবি আদিবাসীদের? কয়েকদিন আগেই কুড়মিদের আন্দোলন ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। এবার আদিবাসীরা দাবি তুলেছেন, তফশিলি উপজাতি সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি টালবাহানা বন্ধ, সাঁওতালি ভাষা ও অলচিকি লিপিতে পাঠদান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োগ, আদিবাসী সমাজের কুসংস্কার ও ডাইনি কথা দূরীকরণ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ, আদিবাসীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এগ্রোফরেস্ট, হর্টিকালচার, ডেয়ারি ফার্ম আদিবাসী এলাকায় গঠন করার উদ্যোগ–সহ নানা দাবি না মেলার প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে সোমবার জেলায় আবার আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় রয়েছে তাঁর একাধিক দলীয় কর্মসূচি। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি থাকায় জেলায় বনধ কতটা বাস্তবায়িত হবে সেটাই এখন দেখার। তবে বনধের সমর্থনে এই আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা সকাল থেকে রাস্তায় নামবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। তাতে চিন্তা বেড়েছে মানুষজনের।