হাতে আছে আর মাত্র একদিন। তার মধ্যে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিকে অনলাইন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিভিন্ন তথ্য আপলোড করতে হবে। তারপরই ট্যাবের পরিবর্তে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠাবে রাজ্য সরকার। সেজন্য জোরকদমে চলছে কাজ।
শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে হচ্ছে। সেইমতো আগামিকালের (২৮ ডিসেম্বর) মধ্যে রাজ্য সরকারের ‘বাংলার শিক্ষা’ () পোর্টালে পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্য আপলোড করতে হবে। সেই পোর্টালে জমা দিতে হবে পড়ুয়াদের তথ্য, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফএসসি (IFSC) কোড। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিকে নিজস্ব আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করে সেই তথ্য আপলোড করতে হবে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ন'মাসেরও বেশি বন্ধ আছে রাজ্যের স্কুলগুলিতে। বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হলেও গ্রামের অধিকাংশ পড়ুয়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন নেই। তার ফলে অনেক পড়ুয়ারাই সমস্যার মুখে পড়ছেন। সেই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে চলতি মাসের গোড়ার দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিকে অনলাইন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব প্রদান করা হবে। কিন্তু সপ্তাহখানেকে আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, পড়ুয়াদের সরাসরি ট্যাব দেওয়া হবে না। বরং সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠানো হবে। তা দিয়ে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করার ট্যাব বা প্রয়োজনীয় ডিভাইস কিনে নিতে পারবে।
নবান্নের তরফে দাবি করা হয়েছে, আপাতত চিনা পণ্যের কেনাকাটি বন্ধ আছে। তার ফলে দরপত্র ডেকে ট্যাব কেনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। টেন্ডার ডেকে কেনার ক্ষেত্রে বড়জোর এক-দেড় লাখ ট্যাব পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। কারণ রাজ্যের ১৪,০০০-এর মতো উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং মাদ্রাসায় প্রায় সাড়ে ন'লাখ ট্যাব দিতে হবে। একইসঙ্গে হাতেও বেশি সময় নেই। সেজন্য প্রত্যেক পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১০,০০০ টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যা পুরো প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখবে। তিন সপ্তাহের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।