এবার কুলতলির ছায়া দেখা গেল উত্তরবঙ্গের জেলায়। কুলতলিতে যেমন শিক্ষক আত্মহত্যা করেছিলেন তেমন এখানেও এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আর এই আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গতকাল ওই শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেন এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করার পর তা ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই স্কুল শিক্ষকের নাম ফারুক আহমেদ (৩৫)। মৃত শিক্ষকের বাড়ি বালুরঘাট ব্লকের গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমারগ্রাম এলাকায়। এই বিষয়টি সামনে আসতেই ওই শিক্ষককে তড়িঘড়ি ওই অবস্থায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন চিকিৎসকরা ওই স্কুলশিক্ষককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর ওই শিক্ষকের দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। আর গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। ফারুক আহমেদ কয়েক বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পান।
আরও পড়ুন: ‘আপনাদের এই অক্লান্ত পরিশ্রমকে আমি শ্রদ্ধা জানাই’, পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা অভিষেকের
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিক্ষক ফারুক আহমেদ হিলি থানার ঈশ্বরপুর প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করতেন। গত কয়েকদিন ছুটিতে ছিলেন তিনি। তার পর আবার স্কুল খুললে যোগ দেন তিনি। সব স্বাভাবিকই ছিল। গতকাল স্কুল যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। তখন বাড়ি ফাঁকাই ছিল শিক্ষক ফারুকের। কারণ তাঁর বাবা–মা বাইরে কাজ করছিলেন। আর তখন বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে গলায় ফাঁস দেন শিক্ষক ফারুক। সম্প্রতি ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। আবার প্রাথমিকে ৬০ হাজার শিক্ষকের প্যানেল বিচারাধীন। আর তা নিয়েই টেনশনে ছিলেন ফারুক বলে পরিবারের দাবি। তাই এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে।
উল্লেখ্য, বাংলা নববর্ষের দিন কুলতলির তেঁতুলবেড়িয়ার গোচরণ টিএস সনাতন হাইস্কুলের এক শিক্ষক আত্মহত্যা করেন। তখন রটে যায় ওই শিক্ষকের নাকি চাকরি বাতিল হয়েছিল। তাই আত্মহত্যা করেছেন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়নি। কারণ মৃত শিক্ষক প্রণব প্রতীপ নাইয়া (৪২) ২০১৬ সালের প্যানেলেরই নন। আত্মহত্যার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলেই তদন্তে পুলিশ জানতে পারে। ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি সুইসাইড নোটও। প্রণববাবু ২০১২ সালে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন।