গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ে এবং মর্মান্তিক মৃত্যুমিছিলের রেশ কাটেনি। উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। তাই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। এখানে যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন তাঁরা এখন আতঙ্কে ভুগছেন। কারণ আর কত মৃত্যু দেখতে হবে! আবার কি কোনও আত্মীয়ের মৃত্যুর সাক্ষী থাকতে হবে? এমন প্রশ্নে ডুগড়ে উঠছেন স্থানীয় মানুষজনও। এই আবহে বৈদ্যবাটিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল একটি পুরনো বাড়ি। আর তাতে গুরুতর জখম হলেন বাড়ি ভাঙার কাজে যু্ক্ত দু’জন শ্রমিক। গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার আতঙ্কের মধ্যেই বৈদ্যবাটির ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি এলাকার চৌমাথায় জিটি রোডের উপর কদিন ধরেই একটি পুরনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছে। আজ, মঙ্গলবার দুপুরেও সেই বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। এমন সময় জিটি রোডের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়িটির একাংশ। তার জেরে সেখানে কর্মরত দুই শ্রমিক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাড়ি ভেঙে পড়ার বিকট শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তড়িঘড়ি এলাকার লোকজন চিকিৎসার জন্য তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাথায় চোট নিয়েই নবান্নে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী, ব্যান্ডেজ পরা অবস্থায় কাজে যোগ
অন্যদিকে এই বাড়ির ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। ঠিকাদার–সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এই বাড়িটি অনুমতি না নিয়ে ভাঙ্গা হচ্ছিল কি না সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশের বক্তব্য, কোনওরকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা না রেখেই বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। বাড়ি ভাঙা হলে রাস্তার দিকে নেট বা চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় যাতে পথচারীদের কোনও বিপদ না হয়। এক্ষেত্রে এমন কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাড়িটি অনুমতি নিয়ে ভাঙা হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে এলাকার মানুষ ভিড় করেছেন।