হরিণের মাংস অবৈধভাবে রাখা এবং খাওয়ার জন্য কঠোর শাস্তি দিল আদালত। এই অপরাধে এক যুবককে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার আদালত। শুধু তাই নয়, কারাদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। ওই যুবকের নাম রাজেশ রাভা। বন্যপ্রাণী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই রায়কে বড় জয় বলে মনে করছেন বন বিভাগের আধিকারিকরা। এই মামলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল মাত্র ১ বছরের মধ্যে রায় ঘোষণা।
আরও পড়ুন: হরিণের শিং–সহ গ্রেফতার দুই ব্যক্তি, কার্শিয়াং হয়ে নেপাল পাচারের ছক অধরা
বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২০২৪ সালের ১৬ মে মাসে। জলদাপাড়া বন বিভাগের দক্ষিণ রেঞ্জের বন আধিকারিককে রাজীব চক্রবর্তী আলিপুরদুয়ার জেলার ১ নম্বর ব্লকের শালকুমার হাটের রাভা বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়েছিলেন। সেই অভিযানের সময় বন কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ রাভার বাড়ি থেকে ২৯২ গ্রাম হরিণের ভাজা মাংস এবং দুটি হরিণের শিং উদ্ধার করেন। তারপরই রজেশকে গ্রেফতার করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন ১৯৭২-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা চলে এক বছর ধরে। সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার পর বিচারক শুক্রবার হরিণের মাংস খাওয়ার মামলায় সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। যুবককে কারাদণ্ড এবং আর্থিক জরিমানার রায় ঘোষণা করেন।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় বন আধিকারিক পারভিন কাসওয়ান এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই রায় বন্যপ্রাণী অপরাধের বিরুদ্ধে বন বিভাগের দৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরে এবং একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এদিকে, গ্রেফতারির পর এই মামলায় বারবার জামিনের আবেদন জানান রাজেশ। জামিন খারিজ হয়ে যায় প্রত্যেকবার। মাত্র এক বছরের মধ্যেই এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় বড় জয় বলে মনে করছে বন বিভাগ।