মহেশতলা কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মোবাইল চুরির অভিযোগে গণপিটুনি। এক যুবককে রাস্তায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর এলাকার। ঘটনার ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: সব সম্পত্তি লিখে দিতে হবে, রাজি না হওয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে বেধড়ক মার ছেলের!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে শক্তিনগরের পাঁচমাথা মোড় এলাকার একটি বাড়িতে নির্মাণকাজ চলছিল। সেই সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মালিকের ছেলের নজরে পড়ে যাওয়ায় ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করে। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে এবং রাস্তার একপাশে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্তের কাছ থেকে নির্মাণ শ্রমিকদের তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বক্তব্য, গত কয়েকদিন ধরেই শক্তিনগর ও আশেপাশের এলাকায় মোবাইল চুরির ঘটনা বাড়ছিল। সেই কারণেই এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ জমেছিল। বৃহস্পতিবারের ঘটনাটি সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি তাঁদের।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, সকলে সকালে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই ওই যুবক ছাদে উঠে ফোন নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। বাড়ির মালিকের ছেলে তাঁকে ধরে ফেলেন। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ওই যুবকের বিরুদ্ধে চুরির প্রমাণ মিলেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যেভাবে তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে, তা আইনসঙ্গত নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহেশতলা পুরসভা এলাকায় জিন্স রং করার একটি কারখানায় ১৪ বছরের এক শিশুশ্রমিককে মোবাইল চুরির অভিযোগে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর এবং বিদ্যুতের শক দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছেলেটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই ধরনের ঘটনা ঘটল।