স্কুলে ভর্তি ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছে বামেদের ছাত্র ও যুব সংগঠন। অভিযোগ, সেই আন্দোলন চলাকালীন স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষাকর্মীকে মারধর করার পাশাপাশি কান ধরতে বাধ্য করা হয়েছে। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় বাম-ছাত্র যুব সংগঠনের আন্দোলনকারীরা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গৌরবাজারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিওয়াইএফআই।
আরও পড়ুন: স্কুল যাওয়ার পথে বন্দুক ঠেকিয়ে শিক্ষককে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে!খবরে পাকড়ওয়া বিবাহ
জানা যাচ্ছে, গোরাবাজারের সরকার পোষিত ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি ফি বেশি নেওয়া হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে গোরাবাজার আইসিআইয়ের সামনে আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের সময় এক শিক্ষা কর্মীকে থাপ্পড় মারা হয় এবং কান ধরতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাস। তিনি দাবি করেছেন, কাউকে মারধর করা হয়নি। আন্দোলন চলাকালীন ওই শিক্ষা কর্মী নিজেই নিজের কান ধরেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্কুলের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এদিকে, পাল্টা এসএফআইও আন্দোলনের বাধা দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে। সংগঠনের এক নেত্রী থানায় স্কুলের একজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। এবিষয়ে স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিস মণ্ডলের দাবি, মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন চলছে। ওইদিন আন্দোলনকারীরা স্কুলে ঢুকে আন্দোলনের নামে তিন শিক্ষককে মারধর করেছে। জানা যাচ্ছে, সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে বছরে উন্নয়ন ফি ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা দফতরের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। তাসত্ত্বেও বেশি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক। তিনি জানান, স্কুল পরিচালনার জন্য অনেক খরচ প্রয়োজন। তারজন্য ৭৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। না হলে স্কুল চালাতে সমস্যা হবে।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, স্কুলে যাতে শিশুদের এবং ছাত্রদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে সেবিষয়ে নজর রাখা উচিত। অন্যদিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশিকা যেটা রয়েছে সেটা মানতেই হবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় উন্নয়ন ফি ২৪০ টাকার বেশি কোনওভাবেই নেওয়া যাবে না। তারপরেও যদি বেশি টাকা নেওয়া হয় তাহলে পদক্ষেপ করা হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বক্তব্য, বামেরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করে না। এসএফআই দাবি করেছে, কাউকে মারধর করা হয়নি।