কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ড. বিআর আম্বেদকরকে নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদে তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধীরা। দেশজুড়ে বিরোধীরা বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। উত্তাল হয়েছে সংসদ। দেশের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরাও আম্বেদকর ইস্যুকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে আম্বেদকর ইস্যু নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল বামেদের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। রাজ্যের সমস্ত স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করানোর আর্জি জানিয়েছে সংগঠটি।
আরও পড়ুন: আম্বেদকরকে নিয়ে 'ফ্যাশন' মন্তব্য বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মোদী, শাহকে নিয়ে বললেন…
এসএফআইয়ের আর্জি, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্কুল শুরুর দিনে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে যেন সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করানো হয়।কিন্তু, কেন এমন আর্জি এসএফআইয়ের? তাদের বক্তব্য, আধুনিক ভারত গড়ার পিছনে আম্বেদকরের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যে মন্তব্য করেছেন তার ফলে শুধু তাঁকে অপমানই করা হয়নি, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং জাতি গঠনের জন্য আম্বেদকর যে সংগ্রাম ছিল তাকেও ছোট করা হয়েছে। শুধু তাই, ন্যায় বিচার এবং ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধকে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এই কারণে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সংবিধানের মূল্যবোধ জাগ্রত করা প্রয়োজন।
এসএফআইয়ের মতে, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের ফলে ছাত্রদের মধ্যে দেশের মূলনীতি, আদর্শ সম্পর্কে জাগ্রতবোধ তৈরি করা উচিত। এর ফলে ছাত্রদের একজন সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার প্রদর্শন করবে।
সমস্ত সরকারি এবং সরকারি-অধিভুক্ত স্কুলে প্রস্তাবনা পাঠ যেন বাধ্যতামূলক করা হয় সেবিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে। তিনি মনে করেন, এই ধরনের উদ্যোগের ফলে সংবিধান সম্পর্কে ছাত্রদের মধ্যে জাগ্রতবোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তাদের আর্জি, স্কুলগুলিতে দৈনিক প্রার্থনার সময় যেন ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তাদের মতে, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়া অত্যন্ত জরুরি। এরফলে তারা যেমন দেশের মূলনীতি এবং আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে তেমনি তাদের একজন সচেতন নাগরিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সংগঠনের আরও দাবি, প্রস্তাবনা পড়ার ফলে পড়ুয়ারা মধ্যে ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধ, অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে । ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং দায়িত্বর গুরুত্বও তারা বুঝতে পারবে।