বাড়িতে বিয়ের আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছিল। আত্মীয়রাও বাড়িতে হাজির হতে শুরু করেছেন। একটা আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। বিয়ের মণ্ডপও প্রস্তুত। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর কাণ্ড। বিয়ের একদিন আগে অফিস থেকে ছুটি নেওয়ার কথা ছিল যুবকের। কিন্তু তার আগের সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। মাঝরাতে বাড়িতে আসে মর্মান্তিক খবর। বিয়ের ঠিক দু’দিন আগেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক বলে খবর আসে। মহেশতলা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মহেশতলায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বজবজ–শিয়ালদা শাখার আকড়া স্টেশনের কাছে বাটা রেল ব্রিজের নীচ থেকে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ। তখনই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যুবকের ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা হয়ে গিয়েছে রেলের আঘাতে। চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলে এমন ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম দিব্যজ্যোতি চক্রবর্তী (বিশ্বজিৎ) (৩১)। এই যুবকের বাড়ি রবীন্দ্রনগর পুরাতন ফাঁড়ির কাছে। ঘটনাস্থলে রেল পুলিশের আধিকারিকরা এসে পরিদর্শন করেন। মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি তাঁর বিয়ে ছিল। ওই এলাকারই একটি মেয়ের সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিলেন। বিয়ের ঠিক দুদিন আগে কেন আত্মহত্যা করলেন বিশ্বজিৎ? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।