মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হল দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় ধরা পড়ে এই দুই অনুপ্রবেশকারী। ধৃতের বাড়ি ঢাকা জেলায় বলে জানা গিয়েছে। তাদের নাম - কেরামত মাল ও সালাম বেদ। ধৃতদের জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। কি কারণে তারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছিল, তা জানতে জেরা করা হয়েছে দু'জনকেই। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। এই অনুপ্রবেশকারীরা কোনও নাশকতার ছক কষছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে মেট্রোয় বরাদ্দ ৩১২৩৯ কোটি, 'টাকা কোনও বাধা নয়', বলছেন কলকাতার কর্তারা)
আরও পড়ুন: ইউনুসের বাংলাদেশের জন্যে বাজেটে কত বরাদ্দ ভারতের? গতবারের তুলনায় বাড়ল না কমল?
আরও পড়ুন: বাজেটে 'উড়ান' ঘোষণা, লাভ হবে রাজ্যের? ধন্দের মাঝে একে অপরকে দুষছে তৃণমূল-বিজেপি
এর আগ সম্প্রতি মালদার আরাধাপুর বর্ডার আউট পোস্টের কুটাদহ সীমান্তে এক মহিলা বিএসএফ জওয়ানের ওপর বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগ উঠেছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বাংলাদেশিরা অনুপ্রেশের চেষ্টা করছিল। সেই সময় দু’জন দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে মহিলা বিএসএফ জওয়ানের ওপরে। এদিকে ওই মহিলা বিএসএফ জওয়ান গুলি চালান তাদের অনুপ্রবেশ রুখতে। এই আবহে অনুপ্রবেশকারীদের আটকাতে সক্ষম হন বিএসএফ জওয়ান। (আরও পড়ুন: যোগেশ চন্দ্রের পুজো হচ্ছে মন্ত্রীর পার্টি অফিসের সামনে, মঞ্চে থাকবেন সাব্বির)
আরও পড়ুন: মেঘলা থাকবে কলকাতার আকাশ, বৃষ্টি কি হবে? কেমন থাকবে আবহাওয়া?
আরও পড়ুন: সরস্বতী পুজোয় 'বাধা' দেওয়ার অভিযোগ আরও এক কলেজে, প্রতিবাদে সরব TMCP
উল্লেখ্য, বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে তাতে আপত্তি জানাচ্ছে বিজিবি। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে মালদা সহ একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের গদিতে 'মুখ' পরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের সরকারের স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।