এবার তৃণমূল নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হল ভয়ঙ্কর তেজস্ক্রিয় মৌল। সঙ্গে উদ্ধার হল ভারতের ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ নথি। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সুকনা ক্যাম্পের আধিকারিকদের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ এই সব জিনিস উদ্ধার করে NDRF ও দার্জিলিং জেলা পুলিশ। ধৃত তৃণমূল নেতা ফ্রান্সিক এক্কার স্ত্রী অমৃতা এক্কা নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ক্যালিফোর্নিয়াম নামে এই তেজষ্ক্রিয় মৌল কোনও ভাবে শরীরে প্রবেশ করলে বা কোনও ব্যক্তির আসেপাশে থাকলে ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্য হবে তার।
আরও পড়ুন - বাকিরা ওয়াক আউট করলেও বিধানসভায় মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় মগ্ন BJP বিধায়ক
পড়তে থাকুন - আবাসের ঘরে হোম স্টে, টাকিতে দুর্নীতির দায় ঝাড়তে মরিয়া চেষ্টা পুরপ্রধানের
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে নকশালবাড়ির বেলগাছি চা বাগানে ফ্রান্সিক এক্কার বাড়িতে হানা দেন সেনাবাহিনীর আধিকারিক ও NDRFএর কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ক্যালিফোর্নিয়াম নামে এক তেজস্ক্রিয় মৌল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। রীতিমতো তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধী বিশেষ ধরণের পোশাক ও অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থটি উদ্ধার করেন NDRF কর্মীরা। কারণ কোনও ভাবে ওই তেজষ্ক্রিয় পদার্থের সামান্যতম অংশ মানবদেহে প্রবেশ করলে মৃত্যু অবধারিত। উদ্ধার হওয়া তেজস্ক্রিয় মৌল পরমাণু শক্তি মন্ত্রকের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এক গ্রাম ক্যালিফোর্নিয়ামের মূল্য ১৭ কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা গবেষণা সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করেছেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কোনও শত্রু দেশের চর হিসাবে কাজ করছিলেন ওই তৃণমূল নেতা।
ফ্রান্সিস এক্কা ও তাঁর স্ত্রী বেলগাছি চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন ফ্রান্সিসের স্ত্রী। এর পর অপ্রচলিত শক্তি কর্মাধ্যক্ষ করে তৃণমূল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ধৃত তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। তার বাড়ি সিল করে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - হিলি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ও আলু রফতানি বন্ধ, সীমান্তে দাঁড়িয়ে শ'য়ে শ'য়ে ট্রাক
ওদিকে সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে কিছু ক্যালিফোর্নিয়াম চুরি গিয়েছিল। তার খানিকটা বিহারের ২ ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়। সেখান থেকেই তৃণমূল নেতার হেফাজতে তেজস্ক্রিয় এই মৌল এসেছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।