কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়লেন বিজেপির আরও ৩ বিধায়ক। বিধায়ক শংকর ঘেষ, শিখা চট্টোপাধ্যায় ও আনন্দময় বর্মন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিন ফের এই নিয়ে যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের আগেই শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ জানিয়েছিলেন, জয়লাভ করলেও নিরাপত্তা নেবেন না। কারণ স্কুটারেই ঘোরাফেরা করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি। এদিকে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন ও ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি জানিয়েছিলেন, তাঁরা যে এলাকার বিধায়ক সেখানকার অধিকাংশ মানুষই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে সেই এলাকায় গেলে বাসিন্দারা ভয় পাবেন। তাঁরা সমস্যার কথা জানাতেই ভয় পাবেন। সেই কারণেই নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । শংকরবাবু বলেন, ‘আমি স্কুটারে করেই এলাকায় ঘুরতে স্বচ্ছন্দ। আমার এলাকায় একটা অংশ ছাড়া কোথাও তেমন সন্ত্রাস নেই। আমাকে নিরাপত্তা দেবেন আমার ভোটাররা’। উল্লেখ্য, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। এর আগেও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এবারই প্রথম জয়ের মুকুট উঠেছে তাঁর মাথায়। শিলিগুড়ির বিধায়ক প্রাক্তন বাম নেতা শংকর ঘোষ অশোক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একুশের নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। অশোক ভট্টাচার্যকে পরাজিত করে শিলিগুড়ি আসনে জয়ী হন শংকরবাবু। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন তৃণমূলে ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়া নিয়ে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন। ভোটের আগে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রার্থীদের অস্থায়ীভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। গত ১০ মে সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া কথা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আরও কিছু দিন নিরাপত্তা বহাল রাখতে বলি। সেই মতো ৩০ মে পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর পর যারা নিরাপত্তা প্রয়োজন বলে আবেদন করবেন শুধু তারাই নিরাপত্তা পাবেন। তা সে তিনি জয়ী হোন বা পরাজিত।এর আগে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছেড়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।