পুরাণে জগন্নাথ ধামের প্রচুর মহিমা রয়েছে, এটিকে পৃথিবীর বৈকুণ্ঠও বলা হয়েছে এবং পুরীকে পুরুষোত্তম পুরীও বলা হয়। এটি হিন্দু ধর্মের চারটি পবিত্র ধাম এর একটি, বদ্রীনাথ, দ্বারকা, রামেশ্বরম এবং জগন্নাথ পুরী এই চার ধাম। এবার জগন্নাথ রথযাত্রা ২৭ জুন থেকে শুরু হতে চলেছে এবং ৫ জুলাই শেষ হবে। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি থেকে ওড়িশার পুরীতে জগন্নাথ রথযাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রা ভগবান জগন্নাথ, তাঁর ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত।জগন্নাথ রথযাত্রা শুরু হতে চলেছে। এই যাত্রা জগন্নাথ মন্দির থেকে শুরু হয় এবং গুন্ডিচা মন্দিরে যায়। ভগবান জগন্নাথ বছরে একবার ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার সঙ্গে তার মাসির বাড়ি দেখা করতে যান। রথযাত্রার মাধ্যমে এই ঐতিহ্য পালন করা হয়। প্রতি বছর, জগন্নাথ রথযাত্রা শুরু হয় আষাঢ় মাসের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে। জগন্নাথ রথযাত্রা কেবল কয়েক দিনের যাত্রা নয়, এর প্রস্তুতি বহু মাস ধরে চলে। রথযাত্রার প্রস্তুতিতে অনেক ধরণের কারিগরও অংশগ্রহণ করেন। এমন পরিস্থিতিতে, আজ আমরা জেনে নেব জগন্নাথ রথযাত্রায় কতগুলি রথ থাকে এবং কারা সেগুলি তৈরি করে সে সম্পর্কে।জগন্নাথ রথযাত্রায় ৩টি রথ থাকেবলভদ্রের তালধ্বজ রথসুভদ্রার দর্পদলন রথভগবান জগন্নাথের নন্দীঘোষ রথরথ কে তৈরি করে?জগন্নাথ রথযাত্রার রথ একজন বা দুজন নয়, সাতটি সম্প্রদায়ের মানুষ তৈরি করে। রথ নির্মাণের প্রক্রিয়া অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয়।বিশ্বকর্মা সম্প্রদায় - তাদের মহারাণও বলা হয়। এই সম্প্রদায়ের লোকেরা তিনটি রথের আকার এবং কাঠামোর দিকে মনোযোগ দেয়। রথের উচ্চতাও তাদের দ্বারা নির্ধারিত হয়।মালী সম্প্রদায় - এই সম্প্রদায় তিনটি রথের সাজসজ্জার জন্য ফুল, মালা ইত্যাদি তৈরি করে।দর্জি সম্প্রদায় - এই সম্প্রদায় তিনটি রথের পোশাক তৈরি করে। তারা প্রভুর পোশাকের পাশাপাশি রথের অন্যান্য স্থানে ব্যবহৃত পোশাকও তৈরি করে।ছুতোর সম্প্রদায় - কাঠের সমস্ত কাজ ছুতোর সম্প্রদায়ের লোকেরা করে। এই লোকেরা রথের বিভিন্ন অংশেও কাঠের যোগান দেয়।চিত্রকর সম্প্রদায় - এই লোকেরা রথে রঙিন চিত্র এবং সাজসজ্জার সামগ্রী প্রয়োগের কাজ করে।কামার সম্প্রদায় - রথে ব্যবহৃত লোহার অংশগুলি এই সম্প্রদায়ের লোকেরা তৈরি করে।কুমোর সম্প্রদায় - কুমাররা তিনটি রথের চাকা তৈরি করে।এই সাত সম্প্রদায়ের লোকেরা ছাড়াও, রথযাত্রা সফল করার জন্য অন্যান্য লোকেরাও অংশ নেয়, তবে তারা আকর্ষণীয় রথ তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে।