জীবনের সুখ, সমৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য আপনার দৈনন্দিন রুটিনে কিছু ছোট ছোট জিনিসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বাস্তুমতে। বাস্তু অনুসারে, অনেক সময় আমরা জেনেশুনে বা অজান্তে কিছু জিনিস পকেটে রাখি, যার ফলে ব্যক্তির উপর অশুভ প্রভাব পড়ে। একই সাথে, কিছু জিনিস পকেটে রাখলে সম্পদ এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
বলা হয় যে পকেটে অনেক জিনিস একসাথে রাখলে নেতিবাচকতা বৃদ্ধি পেতে পারে। যা একজন ব্যক্তির জীবন এবং কেরিয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন জেনে নিই কোন জিনিসগুলি পকেটে রাখা এড়ানো উচিত?
ছেঁড়া মানিব্যাগ: বাস্তু অনুসারে, কখনও পকেটে ছেঁড়া মানিব্যাগ বা পার্স রাখা উচিত নয়। এটি নেতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করতে পারে। যার কারণে অর্থের ক্ষতি বা আর্থিক বিষয়ে চাপের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ছেঁড়া এবং খুব পুরানো মানিব্যাগ বা পার্সটি সরিয়ে নতুন মানিব্যাগ ব্যবহার করুন। এটি আর্থিক লাভের জন্য নতুন সুযোগ প্রদান করতে পারে।
ওষুধ: বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, পকেটে দীর্ঘদিন ওষুধ রাখাও শুভ নয়। এটি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, ভুল করেও এগুলি আপনার পকেটে রাখবেন না। এটি করার মাধ্যমে, আপনি আপনার জীবনে ইতিবাচক শক্তি আকর্ষণ করতে পারেন এবং স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
(Surya Gochar: আর মাত্র অপেক্ষা ৩ দিনের! সূর্যের কৃপায় ধুন্ধুমার উন্নতিতে এই রাশিগুলি পাবে লাভ )
পুরানো বিল: পুরাতন বিল, ছেঁড়া নোট এবং ভিজিটিং নোট দীর্ঘক্ষণ পকেটে রাখা উপযুক্ত বলে মনে করা হয় না। বিশ্বাস করা হয় যে এটি নেতিবাচকতা বৃদ্ধি করে। তাই আর্থিক নথিপত্র একটি ফাইলে রাখুন। এই অভ্যাসটি গ্রহণ করে আপনি সম্পদ, সমৃদ্ধি এবং সুখ আকর্ষণ করতে পারেন। অতএব, পকেট থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং পুরানো বিলগুলি ফেলে দিন এবং গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিরাপদে রাখুন।
ধাগা বা ধর্মীয় সুতো: অনেক সময় আমরা ধর্মীয় স্থান থেকে আনা সুতো বা ধাগা আমাদের পকেটে রাখি। বাস্তুতে এটিকে নেতিবাচক শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই, সর্বদা এটিকে পবিত্র স্থানে নিরাপদে রাখুন। এটি জীবনে ইতিবাচকতা বৃদ্ধি করতে পারে।
নেতিবাচক ছবি: বাস্তু অনুসারে, নেতিবাচক শক্তি প্রদর্শনকারী ছবি, যেমন ঈর্ষা এবং ক্রোধের অনুভূতি তৈরি করে, পকেটে রাখা উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয় যে এটি আর্থিক অবস্থার উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
(বি.দ্র: আমরা দাবি করি না যে এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ সত্য এবং সঠিক। এগুলি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এই প্রতিবেদন এআই জেনারেটেড )